মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

জাদুঘরের গ্যালারিতে মুক্তিযুদ্ধ যেন জীবন্ত।  ছবি: খালেদ সরকার
জাদুঘরের গ্যালারিতে মুক্তিযুদ্ধ যেন জীবন্ত। ছবি: খালেদ সরকার

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক দেশের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে একটি ছোট উদ্যোগের নানা বাধা পেরিয়ে জনসম্পৃক্ততার ভেতর দিয়ে মহিরুহে পরিণত হওয়ার সফল দৃষ্টান্ত।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাদুঘরটি রোববার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে দর্শনার্থীদের জন্য। শীতকালে (অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি) খোলা থাকে বিকেল ৫টা আর রমজান মাসে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।

টিকিট ঘর থেকে ২০ টাকায় প্রবেশ টিকিট কেটে র‌্যাম্পে হেঁটে যেতে হয় চতুর্থ তলায়। জাদুঘরের চারটি গ্যালারির দুটি এই তলায়। প্রথম প্রদর্শনকক্ষের নাম ‘আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম’। এই প্রদর্শনকক্ষটিতে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান পর্ব, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হয়ে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত দেশের ভূপ্রকৃতির বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। ফসিল, প্রাচীন টেরাকোটা, মৃৎপাত্র, শিলাখণ্ডসহ নানা প্রকার নিদর্শনের সঙ্গে রয়েছে ঐতিহাসিক ঘটনা ও ব্যক্তির আলোকচিত্র। দ্বিতীয় প্রদর্শনকক্ষের নাম ‘আমাদের অধিকার আমাদের ত্যাগ’। এই কক্ষ থেকেই দর্শক সরাসরি ঢুকে পড়বেন মহান মুক্তিযুদ্ধের পর্বে। যেখানে আলোকচিত্র, নিদর্শন আর স্থাপনাকর্মে ফুটে উঠেছে ১৯৭০ সালের নির্বাচন, রেসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ, প্রতিরোধযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার গঠন।

এরপর সিঁড়ি বা লিফটে পঞ্চম তলায় গিয়ে দেখা যাবে বাকি দুটি। এই গ্যালারি দুটির নাম ‘আমাদের যুদ্ধ, আমাদের মিত্র’ আর ‘আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবোধ’। নামই যেখানে প্রতিনিধিত্ব করে গ্যালারির চরিত্র।