মুখের কালো দাগ নিয়ে চিন্তিত?

.
.

অনেক কারণেই মুখে কালো দাগ বা ছোপ পড়ে থাকে৷ সূর্যের আলোতে বেশি বেরোলে মুখে কালো ছোপ পড়ে৷ গর্ভাবস্থায়, সন্তান প্রসবের পর বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে মুখের দুই পাশে মেছতার দাগ পড়ে৷ আবার এমনিতেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কারও মুখে দাগ পড়তে পারে৷ এসব দাগ দূর করার আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি আছে৷ এ ছাড়া দরকার বাড়তি কিছু যত্ন৷
প্রচুর ভিটামিন সি চাই
সাইট্রাস ফল বা টক ফলে আছে প্রচুর ভিটামিন সি৷ আর ভিটামিন সি বহিঃ ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে৷ ফলে নতুন করে ত্বক সজীব ও উজ্জ্বল দেখায়৷ টমেটো, লেবু, মালটা, পেঁপে ইত্যাদিতে রয়েছে ভিটামিন সি৷ নিয়মিত প্রতিদিন তাই পাতে কিছু ফলমূল রাখুন৷ এসব ফলের রস সরাসরি ত্বকেও লাগাতে পারেন৷ যেমন: একটি বাটিতে লেবুর রস বা ফলের (কমলা, আঙুর) রস নিয়ে তুলা ভিজিয়ে মুখে লাগানো যায়৷ তারপর ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন৷ এতে ত্বকের মরা কোষ দ্রুত পরিষ্কার হবে৷
প্রকৃতির সান্নিধ্য
পেঁপেতে আছে পেপটিন এনজাইম, যা ত্বকের জন্য উপকারী৷ এই পেপটিন মৃত কোষ সরাতে ও নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে৷ আবার ঘৃতকুমারীর রসেও আছে প্রচুর প্রোটিন ও এমন উপাদান, যা ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে, রোদে পোড়া দাগ দূর করে৷ এই প্রাকৃতিক উপাদান বাজারের প্রচলিত অনেক দামি ফেসওয়াশের চেয়ে ভালো কাজ দিতে পারে৷
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট৷ এটিÿক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে সারিয়ে তোলে ও সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না৷ বাদাম, সূর্যমুখী তেল, ডিম, কলিজা ইত্যাদিতে ভিটামিন ই আছে৷ প্রচুর ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার৷
চিকিৎসা
ত্বক বিশেষজ্ঞরা দাগ ওঠাতে নানা পদ্ধতির পিলিং (ত্বককে মসৃণ) করে থাকেন৷ পিলিং করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়৷ এটি বেশ দ্রুত ও ভালো কাজ করে৷ তবে এ জন্য চিকিৎসকের সাহায্য ও পরামর্শ প্রয়োজন৷
কিছু কথা মনে রাখুন
দাগ নিয়ে হতাশ হবেন না, ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করুন৷ আজেবাজে টোটকা পদ্ধতি না বুঝে ব্যবহার করবেন না৷ কসমেটিক ব্যবহারে সব সময় ভালো ব্র্যান্ড বেছে নিন৷ প্রচুর পানি পান করুন৷ নিয়মিত সানব্লক ব্যবহার করুন৷ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হাইড্রোকুইনোন-জাতীয় ওষুধ খাবেন না৷
চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল