
মশার কামড়ে ম্যালেরিয়ার ভয় তো আছেই, আছে ডেঙ্গুর ভয়ও। এখন এসেছে জিকা ভাইরাসের ভয়। ৫ থেকে ২১ আগস্ট ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে যে রিও সামার অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠানের কথা, সেটাও প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল এই ভাইরাসের কারণে। অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই আশঙ্কা দূর করেছে। অলিম্পিক সেখানেই হবে, কিন্তু ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের ভয় সবাইকে তটস্থ রাখবে। এডিশ এইজিপটি জাতীয় মশার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ায়। সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে কারও শারীরিক সম্পর্কের কারণেও অন্য ব্যক্তির দেহে জিকা ভাইরাস ছড়ায়। কোনো সন্তানসম্ভবা নারীর দেহে এই ভাইরাস থাকলে অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে তাঁর শিশু জন্ম নিতে পারে। বাংলাদেশে অবশ্য এখনো জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি। কিন্তু সাবধান থাকতে হবে। আসুন, জেনে নিই মশা সম্পর্কে কিছু তথ্য।
১. মশা কামড়ালে আমরা সহজে মারতে পারি না কেন? কারণ, সে প্রথমেই ত্বকের নির্দিষ্ট অংশ অল্পক্ষণের জন্য সামান্য অবশ করে দেয়। রক্ত চুষে নিয়ে উড়ে যাওয়ার পর আমরা ব্যথা অনুভব করে থাপ্পড় মারি, কিন্তু ততক্ষণে মশা চম্পট দিয়েছে!
২. রক্ত চোষার সময় মশা তার শুঁড়ের সাহায্যে লালা ছড়িয়ে দেয় যেন রক্ত জমাট না বাঁধে। তাদের লালায় যে প্রোটিন থাকে তা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধীব্যবস্থা শনাক্ত করে বহিরাগত শত্রু হিসেবে তাকে আক্রমণ করে। এ কারণে আমরা মশার কামড়ে চুলকানি অনুভব করি।
৩. এডিশ মশা সহজেই দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। কারণ ওরা পেছন দিক থেকে এসে হাতের কনুই বা পায়ের গোড়ালিতে হুল ফোটায়।
৪. এসব মশা সাধারণত খুব ভোরে বা সন্ধ্যায় কামড়ায়।
৫. জোরে ফ্যান চালিয়ে ঘুমালে বা ফ্যানের বাতাসে বসে কাজ করলে মশারা সহজে কাছে আসতে পারে না। বাতাসের তোড়ে দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়। আর তা ছাড়া, ফ্যানের বাতাসে আমাদের প্রশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসা কার্বন ডাই-অক্সাইড দূরে চলে যায়। শরীরও কিছুটা ঠান্ডা থাকে। মশা মূলত কার্বন ডাই-অক্সাইডের গন্ধে ও শরীরের উষ্ণতায় আকৃষ্ট হয়ে কামড়াতে আসে। তাই ফ্যানের বাতাস মশার হাত থেকে বাঁচতে কিছুটা সাহায্য করে। অবশ্য মশারিতেও কাজ হয়।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস/সায়েন্স টাইমস ৩ জুন ২০১৬