সচেতনতায় হোক বিজয়

গ্রামীণফোন ও প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পাঠকের কাছে ভালো কাজের সত্য গল্প আহ্বান করা হয়েছিল। পাঠকের পাঠানো নির্বাচিত কিছু অভিজ্ঞতা প্রকাশিত হচ্ছে ‘ছুটির দিনে’র অনলাইন সংস্করণে।

করোনার কারণে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও শেষ। এখন বাইরেও তেমন যাওয়া হচ্ছে না, তাই ঘরে বসেই সময় কাটছে। করোনা মহামারির মধ্যে সচেতনতা খুবই জরুরি। কিন্তু রাস্তাঘাটে বের হলে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব চোখে পড়ে। অনেকে মাস্ক ছাড়াই বাইরে বের হচ্ছেন। অনেকের মাস্ক আবার থুতনিতে ঝুলে আছে কিংবা পকেটে রেখেছেন।

সমস্যাটি নিয়ে আমার বন্ধুবান্ধব আর কিছু ছোট ভাইবোনের সঙ্গে আলোচনা করলাম। সবাই মিলে ঠিক করলাম কীভাবে সমাধান করা যায়। সমস্যা সমাধানের এই ভাবনা থেকেই শুরু হলো আমাদের সংগঠন—ইয়ুথ ফর স্মাইল।

সংগঠনের প্রথম কর্মসূচি ঠিক করলাম—মাস্ক বিতরণ করব আর মানুষকে সচেতন করব। ১৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী চলল আমাদের এই কর্মসূচি। এই কার্যক্রমের নাম দিলাম ‘সচেতনতায় হোক বিজয়’। আমাদের নিজেদের পকেট থেকেই প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করলাম। ওই টাকা দিয়ে মাস্ক কেনা হলো। এরপর যশোর শহরের দড়াটানা মোড়ে প্রায় ৫৫০ জন মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করলাম। করোনাকালে মাস্ক পরে থাকার ব্যাপারে তাঁদের সচেতন করা হলো।

আমাদের ওই দিনের কার্যক্রম সফল করতে ট্রাফিক পুলিশের স্থানীয় সদস্যরা অনেক সাহায্য করেছিলেন। তাঁদের প্রতি আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।

আমাদের এই কাজকে আমরা অনেক বড় কোনো কাজ বলে দাবি করতে চাই না। আমরা হয়তো খুব ছোট একটা কাজ করেছি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, সবাই যদি এভাবে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে ভালো কিছু করে, তাহলে আমাদের এই বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, ইয়ুথ ফর স্মাইল।