সফলতার গল্প শোনালেন সৈয়দ দিলরুবা

২০১৬ সালের দিককার কথা। নিজেদের ব্যবহারের জন্য এসেনশিয়াল অয়েল এবং আয়ুর্বেদিক নানান উপাদান মিশিয়ে চুলের জন্য তেল বানিয়েছিলেন সৈয়দ দিলরুবা সুলতানা। সেই তেল ব্যবহার করে তাঁর ছোট বোন ঝিনুক উপকার পেলেন। ঝিনুক সেটা তাঁর ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন।

সৈয়দ দিলরুবা সুলতানাকে পরিচিতজনেরা মুক্তা নামে চেনেন। তিনি জানালেন, তখন নিজের কোনো ফেসবুক আইডি ছিল না তাঁর। পরিচতজনদের কাছ থেকে বোনের ফেসবুকে তাঁর বানানো তেলের অর্ডার পাচ্ছিলেন। শুরুতে নিজেদের ব্যবহারের জন্য হলেও পরে সেই তেল বানিয়ে বন্ধু-বান্ধবসহ পরিচিতদের কাছে বিক্রি শুরু করেন। এরপর তাঁর এ তেলের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। খোলেন নিজের ফেসবুক আইডি ও পেজ।

সৈয়দ দিলরুবা সুলতানাকে পরিচিতজনেরা চেনেন মুক্তা নামে
ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন

বিবিএ শেষ করার সময়ই সৈয়দ দিলরুবা সুলতানার মনে ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছা ছিল। সব সময় তাঁর উদ্যোগের সঙ্গে ছিলেন স্বামী তপু। দুজন মিলে প্রথমে গড়ে তোলেন ‘সাঁকো-ক্র্যাফট’ নামে হ্যান্ডিক্র্যাফট আর ইন্টেরিয়র পণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ওই ব্যবসা খুব বেশি দূর এগোতে না পারলেও হাল ছাড়েননি দিলরুবা। শুরু করেন আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা।

সৈয়দ দিলরুবা সুলতানা এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। তাঁর বানানো কসমেটিকস বিসিএসআইআর এবং বিএসটিআই সনদপ্রাপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায়ই পণ্য সরবরাহ করে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, দেশের বাইরে থাকা অনেক বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিত মানুষজনও তাঁর কসমেটিকস অর্ডার করছেন। অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, আমেরিকা, চীন ও জাপানে তাঁর কসমেটিকস ব্যবহারকারী রয়েছেন। অনলাইন পেজ ছাড়াও কোকো+সিসেমির এখন তিনটি আউটলেট রয়েছে রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা, আজিজ সুপার মার্কেট এবং উত্তরায়। সৈয়দ দিলরুবা সুলতানা জানান, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অনেক তারকা এবং এখনকার ইনফ্লুয়েন্সারদের অনেকেই তাঁর গ্রাহক।