সফলতার ৫ গোপন রহস্য

সফলতার সংজ্ঞা নিয়ে নানা মতভেদ থাকলেও আমরা সবাই চাই সফল হতে। কেউ কেউ সেটি অর্জন করতে পারেন। আবার অনেকে ব্যর্থ হন। আমাদের জীবনের নেতৃত্ব আমরা নিজেরাই দিয়ে থাকি। তাই নিজের জীবন পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমাদের নিজেদেরই আছে। যদি সফল হতে চান, তবে এ পাঁচটি কাজ অবশ্যই করুন। সফল ব্যক্তিদের এ পাঁচটি গোপন কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় অনলাইন ম্যাগাজিন ‘কিজ ফর সাকসেস’। আপনারাও জেনে নিন সেগুলো।

১. লক্ষ্যে স্থির থাকা

সফল ব্যক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যের প্রতি অনুরাগী থাকেন। স্থির সেই লক্ষ্য প্রতিটি মুহূর্তে তাঁদের হৃদয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে। তাঁরা লক্ষ্যকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নেন। আর সিঁড়ি বেয়ে ওঠার মতো একটু একটু করে সেগুলো অর্জন করেন। একসময় তাঁরা সফলতার সর্বোচ্চ চূড়া স্পর্শ করেন। নিজেকে প্রতিদিন বলুন, বেঁচে থাকার জন্য যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন, তেমনি জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে লক্ষ্যের কাছাকাছি যাওয়া প্রয়োজন। সহজ কথায়, আপনার প্রতিটি কাজ হোক জীবনের লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।

২. নিজের মন ইতিবাচক রাখুন

সফল ব্যক্তিদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁরা পরিণতি বা ব্যর্থতার কথা ভাবেন না। যদি আপনি নিজের সফলতা বিশ্বাস করতে না পারেন, তবে সফলতা কীভাবে আপনার কাছে আসবে?   দুর্ঘটনা বা ভুল থেকে শিক্ষা নিন। ভালো মুহূর্তকে স্মৃতি হিসেবে তুলে রাখুন। নেতিবাচক কোনো কিছু থেকে ইতিবাচকতাটুকু গ্রহণ করুন। মন ফুরফুরে রাখুন। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। ভাবুন, কী পরিকল্পনা করেছেন, আর সে অনুযায়ী কী করছেন। কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। কিছুটা ছেড়ে দিন সময়ের হাতে।

৩. নিজের কৌশল নিজে তৈরি করুন

সফল ব্যক্তিদের তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁরা অন্যের বানানো কৌশল অনুসরণ করেন না। তাঁরা নিজেদের কৌশল নিজেরা তৈরি করেন। সব সময় মনে রাখবেন, অন্যরা সফলতার যে ছক বানিয়েছেন, সেটি কেবল তাঁদের নিজেদের জন্য, আপনার জন্য নয়। আপনি সেখানে ‘ফিট’ না–ও হতে পারেন। এ জন্য প্রথমত, আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানতে হবে। সব সম্ভাবনা যাচাই করে নিতে হবে। আর ঝুঁকি নিতে হবে, তবে বুঝেশুনে।

৪. সময়ের মূল্য দিন

নিরর্থক কাজে সময় অপচয় করবেন না। আমরা সবাই কমবেশি খুব সাধারণ একটা ভুল করি, সময় বিনিয়োগ করার আগে সেখান থেকে কী ‘রিটার্ন’ পাচ্ছি, সেটা ভাবি না। যেকোনো নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সেটাকে লাভজনক অবস্থায় নিতে হবে।

৫. নিজের যাত্রা উপভোগ করুন

সফলতার সবচেয়ে বড় সূত্র এটাই। আপনি যা করছেন, সে কাজটি ভালোবেসে করা। খুব আগ্রহ নিয়ে, প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করে করা। ব্যর্থতায় ভেঙে না পড়ে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়া।