
রান্নার কাজ ঝটপট সারতে এখন হরেক রকম বৈদ্যুতিক অনুষঙ্গ অনেকেই ব্যবহার করেন। তেমনই এক নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ ইলেকট্রিক বিটার। কেক বানাতে, পুডিং বানাতে, দ্রুত ডিম ফেটাতে এই বিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধুই ডিম নয়, কেক কিংবা মিষ্টিজাতীয় কিছু রান্নায় ময়দা, বেকিং পাউডার, মাখন ও চিনি বিট করতে এর জুড়ি নেই।
বাজারে দুই ধরনের বিটার কিনতে পাওয়া যায়—যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক। রাজধানীর শান্তিনগরের ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের ক্রোকারিজ বাজার দোকানের বিক্রেতা শাহনেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘ঝামেলা কম বলে ইলেকট্রিক বিটারের চাহিদা বেশি। একসঙ্গে অনেক কিছু ফেটানো যায়। সময় বাঁচে।’
হরেক ব্র্যান্ডের বিটার
বাজারে বেশ কধরনের ইলেকট্রিক বিটার কিনতে পাওয়া যায়। মিয়াকো, নভেনা ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক বিটার ঢাকার ক্রোকারিজ দোকানগুলোয় কিনতে পাবেন। মিয়াকো ব্র্যান্ডের বিটারের দাম এক হাজার ৩০০ টাকা এবং নভেনা ব্র্যান্ডের বিটারের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা। কেনার সময় একটু সতর্ক থাকুন। কারণ, অনেক সময় দোকানি আপনাকে মিক্সচারকে বিটার বলে ধরিয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া বাজারে নন-ব্র্যান্ডের বেশ কয়েক ধরনের ইলেকট্রিক বিটার কিনতে পাওয়া যায়। নন-ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক বিটারের দাম এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার ৭০০ টাকা।
কোথায় পাবেন
রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাস, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা শপিং মল, স্টেডিয়াম মার্কেট, মিরপুরের শাহ আলী মার্কেট, যমুনা ফিউচার পার্কের তৈজসপত্রের ও ইলেকট্রনিকসের দোকানে পাওয়া যায়।
কেনার আগে যা দেখে নেওয়া প্রয়োজন
বিটার যেন বৈদ্যুতিক শক প্রতিরোধী হয়।
অধিকাংশ বৈদ্যুতিক বিটারে এক বছরের ওয়ারেন্টি থাকে। তাই ওয়ারেন্টি কার্ড যত্নে রাখুন।
বিটার ব্যবহার শেষে শুকিয়ে প্যাকেটে রাখুন কিংবা পলিব্যাগে মুড়িয়ে রাখুন। পানির কারণে মরিচা পড়তে পারে।
সরাসরি বৈদ্যুতিক বিটারের বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার চেয়ে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের মাধ্যমে ব্যবহার করুন।