সিডনির বাঙালিপাড়ায় চাঁদরাত

রমজান মাসজুড়েই ল্যাকেম্বা ছিল জমজমাটছবি: কাউসার খান

আজ শেষ হয়ে গেল মাহে রমজান, কাল ঈদ। বাংলাদেশের মতো অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেও চাঁদরাতের আমেজ পাওয়া যায়। তবে সেটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সিডনির বাঙালিপাড়া হিসেবে পরিচিত ল্যাকেম্বায়। চাঁদরাতে মানুষের ঢল নামে এই এলাকায়। সিডনিতে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাঙালির বসবাস। একই সঙ্গে ল্যাকেম্বায় একটি বড় মুসলমান জনগোষ্ঠী রয়েছে। এরা আবার বিভিন্ন দেশের অভিবাসী। আর তাই গোটা রমজান মাসেই ল্যাকেম্বা থাকে মুখর। প্রায় প্রতিদিনই ইফতারের সময় সিডনির আশপাশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা সমবেত হন।

কেনাকাটা চলেছে মাঝরাত পর্যন্ত
ছবি: কাউসার খান

প্রতিবছর রোজার মাস শুরু হলেই ল্যাকেম্বায় বসে জমজমাট ইফতারবাজার। বিভিন্ন বাঙালি রেস্তোরাঁসহ ফুটপাতেই বসে যায় মুখরোচক ইফতারের দোকান। ফুটপাত থেকে শুরু করে নামীদামি রেস্তোরাঁগুলোতেও ইফতারের আয়োজন থাকে। নানা স্বাদের ইফতার কিনতে লোকজন ভিড় করেন এসব দোকানে। বাংলাদেশি স্টাইলে এখানেও দোকানগুলোর সামনেই টেবিল বসিয়ে ইফতার সাজানো হয়। প্রায় প্রতিটি দোকানেই রয়েছে পেঁয়াজু, ছোলা, বেগুনি, আলুর চপ, জালিকাবাব, হালিম, বেসনে ভাজা নানা খাবার, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি, বিভিন্ন রকম মিষ্টিসহ রকমারি ইফতারের সমারোহ। এ ছাড়া বেশ কিছু দোকানে পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ফলের জুস, বার্গার, বারবিকিউসহ বেশ কিছু অস্ট্রেলিয়ান পদও।  

তবে রমজানের শেষ দিনে বিশেষ ইফতারের আয়োজনে থাকে। বাংলাদেশি জিলাপি-পেঁয়াজু থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় উটের মাংসের মাজাদার কাবাব—বাদ যায় না কিছুই। চাঁদরাতে এখানে ঢল নামে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্যান্য মুসলিম দেশের পরিযায়ী মানুষের। ইফতার থেকে শুরু করে ঈদের কেনাকাটা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সবাই বন্ধু-স্বজন নিয়ে মেতে ওঠেন ইফতার, আড্ডা ও কেনাকাটায়।

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। আজ বুধবার মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে এক শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বার্তা শুরুই হয়েছে সবাইকে ঈদ মোবারক জানানোর মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া সিডনিতে বেশ অনেকদিন ধরে স্থানীয় পর্যায়ে করোনার নতুন সংক্রমণ না থাকায় কোনো নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই সব কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকজন সংক্রমিত হওয়ায় বর্তমানে কিছু সাধারণ বিধিনিষেধ আরোপ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ থাকবে ১৭ মে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত।