সীমিত পরিসরে বাসার দাওয়াতে
সংকটময় এই করোনাকালেও নতুন স্বাভাবিকে অভ্যস্ত হচ্ছে মানুষ। চেষ্টা চলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার। অনেক দিন বাসায় কোনো অতিথি আসে না। আপনিও হয়তো কারও বাসায় যান না। ভিডিও কলে মুখ দেখাদেখি তো আছেই। অনেকে এখন অল্পবিস্তর সশরীর দেখা করছেন। বাসায় দাওয়াত দিচ্ছেন কাছের মানুষদের। আড্ডা আর খাওয়াদাওয়া হচ্ছে সেখানে।
এসব দাওয়াতেও মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি। কারণ, ক্ষুদ্র এই ভাইরাস কীভাবে, কখন শরীরে প্রবেশ করবে, তা কেউ জানে না। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মতলেবুর রহমান বলেন, ‘এ সময়ে একান্তই যদি বাসায় নিমন্ত্রণ জানাতে হয়, তাহলে অবশ্যই একবারে অনেকজনকে নয়। যত কম লোককে দাওয়াত দিতে পারেন, সেটাই ভালো। অবশ্যই অতিথি বাসায় ঢোকার আগে তাদের পা ও শরীরে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দিন। বাসায় ঢোকার পর সরাসরি সাবান–পানি দেখিয়ে দিন। অতিথিরা সেখানে ঠিকমতো পরিচ্ছন্ন হয়ে তারপর দূরত্ব রেখে কুশল বিনিময় করুন।’
এ সময়ে আরও যেসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—
একসঙ্গে এক পরিবারের সদস্যদের দাওয়াত দিন। একাধিক পরিবার মানেই ঝুঁকির আশঙ্কা।
বন্ধুদের দাওয়াত দিতে চাইলে চার-পাঁচজনের বেশি না বলাই ভালো।
বাসার প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, স্প্রে, মাস্ক রাখতে পারেন।
বাড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ কেউ থাকলে তাকে আলাদা রাখুন। প্রয়োজনে দূর থেকে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে পারেন তিনি।
অতিথিদেরও সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা জরুরি। নিজেদের জন্য তো বটেই, যে বাড়িতে যাচ্ছেন, তাদের সুরক্ষার দিকটাও আপনাকে ভাবতে হবে।
বসার ঘর ও খাবার টেবিলে কিছুটা দূরত্ব রেখে বসার ব্যবস্থা করুন। যতক্ষণ সম্ভব মাস্ক পরে থাকুন।
সবাই যদি মাস্ক না পরতে চান, তাহলে অতিথি বা আয়োজক যেকোনো একদল মাস্ক পরে থাকুন।
অতিথিদের খাওয়ানোর সময় নিজেরা খাওয়ার দারকার নেই। একদল একবারে খেতে শুরু করুন।