সুকণ্ঠীর মুখশ্রী!

‘যে নারীর কণ্ঠ বেশি আবেদনময় তাঁর মুখও সুশ্রী’। প্রতীকী ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস/শাটারস্টক
‘যে নারীর কণ্ঠ বেশি আবেদনময় তাঁর মুখও সুশ্রী’। প্রতীকী ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস/শাটারস্টক

টেলিফোন আলাপেই এক তরুণীর সুললিত কণ্ঠের মোহে পড়েছেন এক তরুণ। কেউ কাউকে দেখেননি। তরুণ ভাবছেন, এমন আবেদনময় যাঁর কণ্ঠ, না জানি তিনি দেখতে কেমন! কণ্ঠের সঙ্গে মুখশ্রীর সম্পর্ক নিয়ে বিজ্ঞানীরা কিন্তু ওই তরুণের ইচ্ছেপূরণের কথাই বলছেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যে নারীর কণ্ঠ বেশি আবেদনময়, তাঁর মুখশ্রীও চিত্ত হরণ করে। অস্ট্রিয়ার বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের ডেইলি এক্সপ্রেস এ কথা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আবেদনময় কণ্ঠের নারীদের মুখাবয়বে বেশ আকর্ষণীয় কতগুলো বৈশিষ্ট্য থাকে—কপোলের উঁচু হাড়, কোমল চোয়াল রেখা এবং পুষ্ট ঠোঁট। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, এমন নারীদের মুখাবয়ব সাধারণত ডানে-বাঁয়ে কিংবা ওপরে-নিচে খুবই প্রতিসম বিন্যাসের হয়ে থাকে।

ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ৪২০ জন নারীর বিভিন্ন সময়ের কথা রেকর্ড করেন। পরে এই নারীদের কণ্ঠ শোনানো হয় একদল পুরুষকে। এতে দেখা গেছে, কণ্ঠ শুনে পুরুষেরা যেসব নারীকে বেশি পছন্দ করেছেন, সেই নারীদের বেশির ভাগই দেখতেও বেশি সুন্দর!

গবেষক দলটির প্রধান ডক্টর পিটার আবেন্ড বলেছেন, যে নারীর কণ্ঠ আকর্ষণীয় তাঁর ভোকাল কর্ডস ল্যারিংস এবং নাকের গহ্বর অত্যন্ত সুসমন্বিত। আর এর অর্থ হলো ওই নারীর মুখাবয়ব খুবই সিমেট্রিক্যাল বা প্রতিসম বিন্যাসের। গবেষণা প্রতিবেদনটি ইভোলুশন অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়ার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।