সুরভিত সব সময়

সঠিকভাবে ব্যবহার করলে বডি স্প্রে ও ডিওডরেন্টের কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পায়মডেল: অভি, ছবি: সুমন ইউসুফ

রোদ-বৃষ্টির এই ঋতুতে দীর্ঘ সময় নিজেকে সতেজ রাখা বেশ কঠিন। বিশেষ করে যাঁদের সারা দিন বাড়ির বাইরে কাটাতে হয়। অফিসে যাতায়াত, বাইরে ঘোরাঘুরি, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা, এমনকি আড্ডা, দাওয়াতে হাজির হতেও নিজেকে সতেজ রাখা জরুরি।সাধারণভাবে অনেকের ধারণা, ঘর থেকে বের হওয়ার আগে সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করলেই চলে। কিন্তু ভ্যাপসা গরমের এই সময়ে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়। ঘাম মানেই দুর্গন্ধ। বডি স্প্রে বা ডিওডরেন্টের ব্যবহার দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি দিতে পারে। পাশাপাশি মনকেও সতেজ রাখে।

ঘামের পাশাপাশি উৎকট গন্ধ ঠেকাতে ডিওডরেন্ট কার্যকর
মডেল: অভি, ছবি: সুমন ইউসুফ

ছেলেদের ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সাধারণত তিন ধরনের প্রসাধনের ব্যবহার বেশি জনপ্রিয়। পারফিউম, বডি স্প্রে ও ডিওডরেন্ট। এর মধ্যে প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য বডি স্প্রে ও ডিওডরেন্ট বেশি উপযোগী। কারণ, বডি স্প্রে ছয় থেকে আট ঘণ্টা শরীরকে সুবাসিত রাখে। পারফিউমের তুলনায় এতে সুগন্ধি নির্যাস কম থাকায় ত্বকের জন্য তুলনামূলক কোমল। ডিওডরেন্ট শরীরকে ঘামমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। এ জন্য ডিওডরেন্ট শরীরের ভাঁজে বেশি ব্যবহার করতে হয়। যেমন বগলে। ঘামের পাশাপাশি উৎকট গন্ধ ঠেকাতে ডিওডরেন্ট কার্যকর।

সঠিকভাবে ব্যবহার করলে বডি স্প্রে ও ডিওডরেন্টের কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পায়

l গোসলের আগে বডি স্প্রে ও ডিওডরেন্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। আবার গোসলের অনেক পরেও না। গোসলের ঠিক পরপরই এগুলো ব্যবহার করলে সুঘ্রাণ দীর্ঘ সময় থাকে।

l বডি স্প্রে ব্যবহারের পর গন্ধবিহীন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে সুগন্ধ স্থায়ী হয়।

l এখন বাজারে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বডি স্প্রে পাওয়া যায়, যা ইউক্যালিপটাস, ল্যাভেন্ডার, লেমন এবং ফ্রাংকিনসেন্স দিয়ে তৈরি, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।

l সম্ভব হলে রাসায়নিক উপাদানে তৈরি বডি স্প্রে এড়িয়ে চলুন।

l ঘাড়, বুক, বগল, কানের পেছনে এমনকি হাঁটু এবং কনুইতে ব্যবহার করলে সুঘ্রাণ সঠিকভাবে ছড়াবে।

l বডি স্প্রে কাপড়ের ওপরে নয়, শরীরের ভাঁজে ব্যবহার করতে হয়।