সৃজনের উচ্ছ্বাসে বিশ্ব নাট্যদিবস উদ্যাপন

বিশ্বকাপে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা একদল তরুণ-তরুণী । সৌরভ দাশ
বিশ্বকাপে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা একদল তরুণ-তরুণী । সৌরভ দাশ

যত্রতত্র পড়ে আছে কলার খোসা। একটু এদিক ওদিক হয়ে হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে পড়লেন এক পথচারী। কখনো আবার ঘটছে দুর্ঘটনাও। চারপাশে প্রতিদিন ঘটে চলা এসব ঘটনা নিয়ে মূকাভিনয় পরিবেশন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটি দল।
গত ২৭ মার্চ ছিল বিশ্ব নাট্যদিবস উপলক্ষে অনেক আয়োজনের পাশাপাশি এ মূকাভিনয়ও নজর কাড়ে দর্শকের। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজেই প্রথমবারের মতো পালিত হয় দিবসটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ সংলগ্ন আঙিনায় বসেছিল দিনব্যাপী এ নাট্যমেলা।
কেবল মূকাভিনয় নয়, এদিনের অনুষ্ঠানে আরও ছিল শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বিভিন্ন নাটক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ফরাসি নাট্যকার মলিয়েরের ভন্ড তারতুফ নাটকটি। সাধারণ মানুষের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর বকধার্মিক ব্যক্তি কীভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত থাকে নাটকে সেটাই তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চাকমা নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কোরিওগ্রাফি প্রদর্শন করেন নাট্যকলা বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক অসীম দাশ। তিনি সামনে আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন করার আশা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি কুন্তল বড়ুয়া বলেন, এবার থেকে প্রতিবছরই বিশ্ব নাট্যদিবস উদ্যাপিত হবে। সবশেষে রফিউল কাদেরের রচনায় এবং ইমরান হোসেনের পরিচালনায় লজ্জা নাটকটি পরিবেশিত হয়।