স্বপ্নবান বন্ধুদের অপেক্ষায়...

অপেক্ষা বড় আনন্দের। অপেক্ষা বড় কষ্টের। অপেক্ষা মানে মধুরতম দিনগুলোর রোমন্থন। অপেক্ষা মানে প্রিয় মুখগুলোকে আবার নতুন করে ফিরে দেখার আকাঙ্ক্ষা। পেছনে ফিরে গিয়ে সেই যে ঐকতান, সেই যে একসঙ্গে চলার দৃপ্ততা, সেই সব স্মরণীয় মুহূর্তগুলো আবার ফিরিয়ে আনতে চায় বন্ধুসভা। পুরোনো বন্ধুরা, যাঁরা আলোকিত স্বপ্নের কথা বলতেন অথবা নিজের বেদনাগুলোকে অবলীলায় শূন্যে উড়িয়ে হাসিমুখে নতুন জীবনের গল্প বলতেন, আহা আমাদের সেই সব স্বপ্নবান বন্ধুরা, যাঁরা এখনো বন্ধুসভায় আবার নতুন করে আলো ছড়াতে পারেন, তাঁদেরই বলছি।
আমরা বিশ্বাস করি, আপনার সঙ্গে আমাদের বন্ধন এখনো তীব্র। আপনার সঙ্গে আমাদের বন্ধন এখনো অটুট।
যেদিন বন্ধুসভা বের হতো তার আগের দিনও আমাদের বিষয়ভিত্তিক লেখাগুলো নিজেরাই রিভিউ করতাম আমরা। লেখা ছাপার আগে, লেখা ছাপার পরেও। তারপর কখনো কখনো প্রথম আলো অফিসে গিয়ে নিরবচ্ছিন্ন আড্ডা। যেন কোনো উৎসবের দিন। আমরা অনেকেই সেই আড্ডায় মেতে থাকতাম অনেকক্ষণ।
সে একদিন গেছে আমাদের। কেউ কেউ তখন ছাত্র, কেউ ঢাকার বাইরে থাকেন, কেউ কেউ ঢাকায়। প্রথম আলোর লিড নিউজ থেকে শুরু করে প্রিন্টার্স লাইন পর্যন্ত সব বিষয়ে গভীরতম আলোচনা।
আজ তাঁদের অনেকেই প্রতিষ্ঠিত। কেউ কেউ এতটাই ব্যস্ত যে সময় করে আসা হয়ে ওঠে না। তবু মনের টানটা থেকে যায়। বন্ধুসভা তাই বলছে, ‘পুরোনো বন্ধুরা কে কোথায় আছেন আমাদের জানান। দেশ-বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন, যাঁরা দেশে আছেন, তাঁদের প্রথম আলোয় আমন্ত্রণ জানাই। আমাদের ইচ্ছা আপনারা আবার বন্ধুসভার সঙ্গে যুক্ত হোন। দূরে থেকে অথবা সরাসরি যুক্ত হয়ে প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্গেই থাকুন। আমরা আপনাদেরই খুঁজছি।’
আমি আছি। আমরা সবাই আছি এই প্রয়াসের সঙ্গে। প্রিয় সতীর্থ, আপনি আছেন? তাহলে চলে আসুন না? আবার আলো ঝলমলে একেকটা দিনের জন্য অপেক্ষা করি!