গুরুদাসপুরে স্কুলমাঠে নির্মাণসামগ্রী

স্কুলের মাঠে সড়কের নির্মাণসামগ্রী রাখায় নাটোরের গুরুদাসপুরে হামলাইকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আড়াল হয়েছে। ছবি: নাজমুল হাসান
স্কুলের মাঠে সড়কের নির্মাণসামগ্রী রাখায় নাটোরের গুরুদাসপুরে হামলাইকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আড়াল হয়েছে। ছবি: নাজমুল হাসান

নাটোরের গুরুদাসপুরে হামলাইকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে রাখা হয়েছে সড়ক পাকাকরণের নানা উপকরণ। আর স্কুলমাঠে এসব উপকরণের কারণে বিপাকে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

দূর থেকে দেখে মনে হবে, সড়ক পাকাকরণের নানা উপকরণে ঢাকা পড়েছে স্কুল। এতে ক্ষুব্ধ অনেকেই।

সড়কের পাশেই হামলাইকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের মাঠে রাখা হয়েছে পাথর, বিটুমিনভর্তি সারি সারি ড্রাম, প্ল্যান্ট মেশিন, খোয়া মিশ্রণযন্ত্র। আরও আছে ইট, পাথর ও বালুর বিশাল বিশাল স্তূপ। দিনের বেলায় চুলায় জ্বলছে বিটুমিন। পাথর আর বিটুমিন মেশানো হচ্ছে মেশিনে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে এমন কর্মযজ্ঞ। বিদ্যালয়ের শিশুদের পাশাপাশি এলাকার যুবকেরাও খেলাধুলা করে এ মাঠে।

নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাজিরপুর বটতলা থেকে শুরু হয়ে নাড়িবাড়ি মোড় পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ চলছে। এ মাসের শুরু থেকে সড়ক পাকা করার নানা উপকরণ হামলাইকোল বিদ্যালয় মাঠে রাখা শুরু হয়। সংস্কারকাজ শেষ হতে ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগতে পারে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাষ্য, ক্লাসের সময় চুলায় বিটুমিন গলানো হয়। তাতে কালো ধোঁয়া ওঠে। এ ছাড়া, খোয়া মেশানোর যন্ত্র থেকে শব্দ ছড়াচ্ছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হয়। মাঠে পাথর, বিটুমিন, খোয়া মেশানোর যন্ত্র রাখায় মাঠে খেলাধুলা, অ্যাসেম্বলিসহ বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

হামলাইকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোছা. শাহনাজ রীতা জানান, বিদ্যালয়ের মাঠে এমন কর্মযজ্ঞ চলার কারণে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই শিশুদের পায়ে ফুটছে ইটের খোয়া এবং পাথরের কুঁচি। এতে অভিভাবকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছেন।