সংযোগ সড়ক নেই ৩৫ বছর, ঠায় দাঁড়িয়ে সেতু

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের চাকল বিলের মাঝে ৩৫ বছর আগে সেতু ও কাঁচা সড়ক নির্মিত হয়েছিল। উত্তাল ঢেউয়ে সড়কটির অস্তিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। সেতুটি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেও নতুন করে সড়ক আর নির্মিত হয়নি। এ কারণে কাজে আসছে না সেতুটি। উপরন্তু, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেতুটির অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সেতুটির দুপাশে নতুন করে সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় ছয়টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এসব গ্রামের মানুষকে চার কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে সময়, অর্থ ও শ্রম।

চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর মিয়া জানান, ১৯৮৪ সালে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদের এডিবি তহবিল থেকে চাকলের বিলের মাঝে সেতু ও মাটির সড়ক নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালের বন্যায় মাটির সড়কটি বিলীন হয়ে হয়ে যায়। তারপর নতুন করে সড়ক নির্মিত হয়নি।

আবু জাফর মিয়া আরও জানান, আগে চাকল বিলকেন্দ্রিক মোকিমপুর, তেলটুপি, রওশনপুর, নওপাড়া, ঝাউপাড়া ও সোনাবাজু গ্রামের মানুষ সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার বাইরে ছিল। এসব গ্রামের মানুষকে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের আওতায় আনতে বিলের মাঝে সেতু ও সড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নানা কারণে সেতুকে ঘিরে নতুন করে সড়ক নির্মিত হয়নি। এ কারণে এখনো অনেকটা যোগাযোগবঞ্চিত রয়েছে ওই সব গ্রামের মানুষ।

চাপিলা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আলাল উদ্দিন বলেন, চাকলের বিলের দক্ষিণ পাশ দিয়ে ‘রওশনপুর-তেলটুপি’ গ্রামের মাঝ দিয়ে এক দশক আগে চাপিলা ইউনিয়ন সদরের সঙ্গে গ্রামীণ সড়কটি পাকা করা হয়েছে। এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ওই গ্রামের মানুষ এবং চাপিলা ইউনিয়ন এলাকার মানুষ প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরপথে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। চাকলের বিলের মাঝ দিয়ে সড়কটি নির্মিত হলে ছয় গ্রামের মানুষ সরাসরি উপজেলা সদর এবং চাপিলা ইউপির সঙ্গে সহজে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে। এ–সংক্রান্ত দাবি স্থানীয় সাংসদ মো. আবদুল কুদ্দুসকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে মো. আবদুল কুদ্দুস বলেন, বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কথা ভেবে চাকলের বিলের মাঝের সেতুটি সংস্কার ও নতুন করে সড়ক নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্প অনুমোদন করা হলেই দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তখন গ্রামগুলোর মানুষের দুর্ভোগ থাকবে না।