বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রেলপথ নির্মাণ ও চায়ের প্রসার

ভারতবর্ষে পূর্ণাঙ্গরূপে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার আগে চা পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত বাঁশের নৌকা। শ্রমিকেরা নৌকায় চায়ের বাক্স তুলছেন। ছবিটি ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতার প্রথম স্টুডিও ‘বোর্ন অ্যান্ড সেফার্ড’–এর সংগ্রহ থেকে নেওয়া।
ভারতবর্ষে পূর্ণাঙ্গরূপে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার আগে চা পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত বাঁশের নৌকা। শ্রমিকেরা নৌকায় চায়ের বাক্স তুলছেন। ছবিটি ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতার প্রথম স্টুডিও ‘বোর্ন অ্যান্ড সেফার্ড’–এর সংগ্রহ থেকে নেওয়া।

ভারতবর্ষে রেল–পূর্ব যোগাযোগব্যবস্থার একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল নদীপথ। এ ছাড়া পরিবহন কাজে গরুর গাড়ি ও হাতি ব্যবহার করা হতো। দিনাক সোহানী কবির রচিত ‘পূর্ব বাংলার রেলওয়ের ইতিহাস ১৮৬২-১৯৪৭’ গ্রন্থ হতে জানা যায়, সে সময় সিলেট থেকে কলকাতা পৌঁছাতে প্রায় ১৩ দিন সময় লাগত। কলকাতা বন্দর দিয়ে চা বিশ্ববাজারে পাঠানো হতো। এ ব্যবস্থা যেমন ছিল ধীর গতিসম্পন্ন, তেমনি ছিল ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থার অভাবে বহুকাল যাবৎ কলকাতা বন্দরকেই রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য প্রাধান্য দেওয়া হতো। আসাম থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের ফলে সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি কয়েক দফা যানবাহন বদলের ঝামেলা থেকেও নিষ্কৃতি মেলে।

ভারতবর্ষে পূর্ণাঙ্গরূপে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার আগে চা পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত গরুর গাড়ি ও হাতি। ছবিটি ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতার প্রথম স্টুডিও ‘বোর্ন অ্যান্ড সেফার্ড’–এর সংগ্রহ থেকে নেওয়া।
ভারতবর্ষে পূর্ণাঙ্গরূপে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার আগে চা পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত গরুর গাড়ি ও হাতি। ছবিটি ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতার প্রথম স্টুডিও ‘বোর্ন অ্যান্ড সেফার্ড’–এর সংগ্রহ থেকে নেওয়া।

‘দ্য আর্লি হিস্ট্রি অব দ্য ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ১৮৪৫-১৮৭৯’ গ্রন্থের লেখক হেনা মুখার্জির তথ্য মোতাবেক, আসাম-বেঙ্গল রেলপথের প্রথম শাখাটি চট্টগ্রাম-কাছার শাখা নামে অভিহিত। ১৮৯৮ সাল নাগাদ তা চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়টি পাহাড়ি শাখা নামে পরিচিত এবং এটি সম্পন্ন হতে প্রায় ১১ বছর ব্যয় হয়। বিভিন্ন উচ্চতার পাহাড়ের ওপর দিয়ে রেলপথ স্থাপন গুরুতর প্রকৌশলগত সমস্যা সৃষ্টি করে। নির্মাণকাজের জন্য সরঞ্জাম ও শ্রমিক সরবরাহ এবং শ্রমিকদের জন্য খাদ্য সরবরাহ এক দুরূহ ব্যাপার ছিল। এ শাখাটি ১৯০৪ সালে চালু হয়। এই রেলপথটিকে উত্তর আসামের চা উৎপাদনকারী এলাকাসমূহ এবং ভৈরব বাজারের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ ও ঢাকা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। সিলেট জেলায় চা–বাগানকে ঘিরে স্থাপিত হয় শ্রীমঙ্গল, শমসের নগর, লাংগাই এবং চারগোলা রেলস্টেশন। অন্যদিকে এ রেলপথকে চাঁদপুর পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যাতে বাষ্পীয় নৌযানে যাত্রী ও পণ্য গোয়ালন্দ পর্যন্ত এসে সেখান থেকে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (ইবিআর) দিয়ে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

আসাম ও সিলেটের বিভিন্ন স্থানের চা–বাগানগুলোর মধ্য দিয়ে রেললাইন সম্প্রসারণের চিত্র। দ্য ইন্ডিয়ান ইকেনমিক অ্যান্ড সোস্যাল হিস্ট্রি রিভিউ, ভলিউম-১৭, নম্বর-২, এপ্রিল-জুন, ১৯৮০ সংখ্যায় প্রকাশিত।
আসাম ও সিলেটের বিভিন্ন স্থানের চা–বাগানগুলোর মধ্য দিয়ে রেললাইন সম্প্রসারণের চিত্র। দ্য ইন্ডিয়ান ইকেনমিক অ্যান্ড সোস্যাল হিস্ট্রি রিভিউ, ভলিউম-১৭, নম্বর-২, এপ্রিল-জুন, ১৯৮০ সংখ্যায় প্রকাশিত।

মিসবাহউদ্দিন খানের লেখা ‘চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাস (১৮৮৮-১৯০০)’ থেকে দেখা যায়, চট্টগ্রাম পোতাশ্রয়ে জেটি নির্মাণের অনুমতি পায় আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে (এবিআর)। প্রথম জেটির কাজ তারা ১৮৯৯ সালে সমাপ্ত করে। ১৯০০-১৯১০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে সামুদ্রিক জাহাজ ভেড়ানোর জন্য তারা আরও তিনটি জেটি নির্মাণ করে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চা রপ্তানি বিপুলভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এবিআর ছাড়া উনিশ শতকজুড়ে ও বিশ শতকের প্রথমাংশে আরও বেশ কিছু রেললাইন স্থাপিত হয়, যা চা–শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৮৭৮ সালের জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সাড়া পর্যন্ত (অর্থাৎ পোড়াদহের অপর পাড়) নর্দার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের (এনবিআর) উদ্বোধন করা হয়। সাড়া থেকে ঈশ্বরদী, নাটোর, সান্তাহার, পার্বতীপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য স্টেশন হয়ে রেলপথটি শিলিগুড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ওই লাইন স্থাপনের অল্প কিছুকাল পরই দার্জিলিং হিমালয়ান কোম্পানি নামে একটি স্বতন্ত্র কোম্পানি শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত একটি ন্যারোগেজ লাইন স্থাপন করে। উনিশ শতকের মাঝেই এনবিআরের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার উত্তরাঞ্চলে রেললাইন সম্প্রসারণ মোটামুটিভাবে সমাপ্ত হয়। জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি অঞ্চলের চা বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে এনবিআরের ব্যাপক অবদান রয়েছে।

ছবিটি নাগপুরের ন্যারোগেজ রেলওয়ে জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। এটি গোনদিয়া রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মে অবস্থিত টি-স্টলের ছবি। রবীন্দ্র ভালেরাও কর্তৃক ১৯৩০ সালে ধারণ করা।
ছবিটি নাগপুরের ন্যারোগেজ রেলওয়ে জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। এটি গোনদিয়া রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মে অবস্থিত টি-স্টলের ছবি। রবীন্দ্র ভালেরাও কর্তৃক ১৯৩০ সালে ধারণ করা।

অপর আরেকটি রেললাইন হলো রংপুরের কাউনিয়া-ধরলা রেললাইন। ১৯৮৫-৮৬ সালের বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার হতে দেখা যায় এই রেলওয়ে আসাম প্রদেশের চা–বাগানগুলোতে দ্রুত কুলি প্রেরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের (ইবিআর) মাধ্যমে ১৮৬২ সালে কলকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে রেলগাড়ি চলাচল শুরু হয়। পরে তা গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ১৯২৫ সালের বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার (ফরিদপুর) থেকে দেখা যায় আসামের চা–বাগানের কুলি প্রেরণে গোয়ালন্দ ঘাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই ঘাট স্টেশনটিতে একটি ডিপো স্থাপন করা হয়েছিল। সেখান থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট, এজেন্ট এবং মেডিকেল ইন্সপেক্টররা কুলিদের বহির্গমন ও অভিবাসনের কাজ তদারকি করতেন। চা বাণিজ্যিকীকরণে সম্মিলিতভাবে এই সকল রেলওয়ের অবদান কতটা, তা বোঝা যায় নীচের সারণিতে দেয়া পূর্ববাংলা থেকে ১৮৫২-১৯০২ সাল পর্যন্ত গড় চা রপ্তানির চিত্র দেখে:

বছর

মূল্য (টাকা)

১৮৫১-৫২

১,৯৮,৯৪৫

১৮৬১-৬২

১৪,৪১,৯০০

১৮৭১-৭২

১,৪৩,৬২,১৩৮

১৮৮১-৮২

৩,৫২,৮৭,৭১৩

১৮৯১-৯২

৫,৫৩,৩১,০৯৫

১৯০১-০২

৭,১০,৭৭,০০০

উৎস : পূর্ববাংলার রেলওয়ের ইতিহাস ১৮৬২-১৯৪৭, দিনাক সোহানী কবির

রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারণেই রপ্তানি খাতে এই যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব হয়েছে। ১৯১০-১১ সালে আসামে ৩ লাখ ৫০ হাজার একর এবং বাংলায় ৯২ হাজার একর জমিতে চা উৎপাদিত হয়। এবিআর এবং ইবিআর উভয় রেলওয়ে পূর্ব বাংলার চা-কে দ্রুত বন্দরে প্রেরণের ব্যবস্থা করে। উল্লেখ্য, ইবিআর যৌথভাবে বেঙ্গল ডুয়ার্স রেলওয়ে এবং দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের সঙ্গে এবং এবিআর, ধিব্রু সাদিয়া রেলওয়ের মাধ্যমে কলকাতা ও চট্টগ্রাম বন্দরে চা পরিবহন করত। যেসব পরিবহনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ভারতীয় চা পরিবহন করা হতো তা নিম্নে উল্লেখ করা হল—

রেলওয়ের মাধ্যমে বাংলায় চা পরিবহনের পরিমাণ

রেলওয়ে

 

 

 

টন

টাকা

টন

টাকা

টন

টাকা

ইস্টার্ণ বেঙ্গল

৩৬,৫৫৩

৬,৮১,৭৭৯

৪২,৬৬৭

৭,৬৫,৬৭৬

৪০,৮৮১

৭,৫৩,১২০

বেঙ্গল ডুয়ার্স

১৯,৬৮৩

৪,০৬,৬২৯

২২,৯৩০

৫,১০,৬৯৭

২২,০০৩

৪,৫৫,৪১৯

আসাম বেঙ্গল

৪২,৩৩৬

৫,৩১,২৭৫

৪১,৭২৩

৫,১০,৬০৭

৪১,৯৭৩

৪,৮৯,৫৮৪

উৎস: এ মনোগ্রাফ অব ইন্ডিয়ান রেইলওয়ে রেইটস, এস.সি.ঘোষ, ১৯১৬

লাহোর রেলস্টেশনে অবস্থিত টি স্টল। বাঁ পাশে হিন্দুদের এবং ডান পাশে মুসলমানদের চা পানের ব্যবস্থা। ছবিটি ডব্লিউ এইচ উকার্সের লেখা চা–বিষয়ক আকর গ্রন্থ ‘অল অ্যাবাউট টি’ শীর্ষক বইতে প্রকাশিত।
লাহোর রেলস্টেশনে অবস্থিত টি স্টল। বাঁ পাশে হিন্দুদের এবং ডান পাশে মুসলমানদের চা পানের ব্যবস্থা। ছবিটি ডব্লিউ এইচ উকার্সের লেখা চা–বিষয়ক আকর গ্রন্থ ‘অল অ্যাবাউট টি’ শীর্ষক বইতে প্রকাশিত।

ভারতবর্ষের মাঝেই উৎপাদিত চায়ের একটা বড় অঙ্কের ভোক্তা তৈরির জন্য রেলস্টেশনগুলোতে টি-স্টল, রিফ্রেশমেন্টস জাতীয় নাম দিয়ে সেখানে চায়ের ব্যবস্থা রাখা হতো। ১৯৩০-৩১ সালের ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের অন্তর্ভুক্ত রেলস্টেশনগুলোর প্ল্যাটফর্মে মুসলমানদের দ্বারা ৩২টি এবং হিন্দুদের দ্বারা ৫২টি স্টল বা দোকান পরিচালিত হয়। এ স্টলসমূহ ইন্ডিয়ান টি চেজ কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো।একই প্রতিষ্ঠানের ১৯৩৪-৩৫ সালের প্রতিবেদনে জানা যায়, আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের ৫০টি স্টেশনে হিন্দুদের জন্য ৬২টি, মারওয়ারিদের জন্য ৩টি এবং মুসলমানদের জন্য ৪০টি স্টল বরাদ্দ করা হয়। পূর্ব বাংলার রেলওয়ের ইতিহাস ১৮৬২-১৯৪৭ বইয়ের লেখক ড. দিনাক সোহানী কবিরের মতে, ১৯৪১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের অধীনে ৯৮টি স্টেশন এবং ৩টি ফেরিঘাটে এ ধরনের স্টল তৈরি করা হয়। এসব স্টল থেকে চা এবং হালকা খাবার বিক্রি করা হতো।

রেলের ইংরেজ আমলের ক্যাটারিং কন্ট্রাক্টর এইচ সি দে, দমদমের এই দোকানটি চালাতেন। তিনি বিনে পয়সায় চা-ও সরবরাহ করতেন রেলযাত্রীদের। তাঁর সময় থেকেই বিজ্ঞাপনগুলো রয়ে গেছে এখানে। দেবদত্ত গুপ্তের ‘দমদম স্টেশনের চা-এর দোকানের ঐতিহাসিক বিজ্ঞাপন’ শীর্ষক লেখা থেকে ছবিটি সংগ্রহ করা।
রেলের ইংরেজ আমলের ক্যাটারিং কন্ট্রাক্টর এইচ সি দে, দমদমের এই দোকানটি চালাতেন। তিনি বিনে পয়সায় চা-ও সরবরাহ করতেন রেলযাত্রীদের। তাঁর সময় থেকেই বিজ্ঞাপনগুলো রয়ে গেছে এখানে। দেবদত্ত গুপ্তের ‘দমদম স্টেশনের চা-এর দোকানের ঐতিহাসিক বিজ্ঞাপন’ শীর্ষক লেখা থেকে ছবিটি সংগ্রহ করা।

দমদম স্টেশনের ২ আর ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে রয়েছে একটি চায়ের দোকান। সেই দোকানে আজও চোখে পড়বে টিনের পাতের ওপর এনামেল প্রিন্টে ছাপা চা-বিষয়ক কয়েকটি ব্রিটিশ আমলের বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনগুলোর বেশ কয়েকটি দাবির একটি ‘ইহা খাইতে বেশ সুস্বাদু, ইহাতে কোনো অপকার হয় না, ইহা জীবনী শক্তির উদ্দীপক ও সর্বোপরি ইহাতে মাদকতা শক্তি নাই।’

আরও পড়ুন
প্রথম পর্ব : ভারতবর্ষে চায়ের আবির্ভাব এবং পানীয়রূপে প্রতিষ্ঠা

* ২য় পর্ব : চায়ের নানামুখী বিজ্ঞাপন এবং শিল্প-সাহিত্যে চা

* চতুর্থ পর্ব: সেকালের চা কোম্পানি ও চা করদের কথা। পড়ুন ২০ নভেম্বর নাগরিক সংবাদে

হোসাইন মোহাম্মদ জাকি: গবেষক