কাঁচা কলার ভর্তা এখন গণবিশ্ববিদ্যালয়ে

রাজধানীর অনেক এলাকায় এখন ভ্যানে করে কাঁচা কলার ভর্তা বিক্রি করে। ছবি: লেখক
রাজধানীর অনেক এলাকায় এখন ভ্যানে করে কাঁচা কলার ভর্তা বিক্রি করে। ছবি: লেখক

বেশ কিছুদিন ধরে একটা ভর্তা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এই ভর্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা হয়েছে। এই ভর্তাটি হলো কাঁচা কলার। কাঁচা কলার সঙ্গে বেশ কিছু ফল দিয়ে টক–ঝাল–মিষ্টি একটা ভর্তা। ভ্যানে করে এ ভর্তাটি বানিয়ে বিক্রি করা হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা কলার ভর্তা বানানোর ভ্যান এখন সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ গেটেও দেখা মিলল। এখানে ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু এলাকাজুড়ে এ রকম দু-একটি ভ্যান এখন অনেকের চোখে পড়ে। আনারস, কদবেল, তেঁতুলও মেলে ভ্যানে।

এই ভর্তার আলাদা কোনো রেসিপি নেই। দাঁড়িয়ে থেকে ক্রেতা দেখতে পাবেন কী কী দিয়ে বানানো হচ্ছে। ভর্তার মূল উপকরণ কাঁচা কলা। সঙ্গে যোগ করা হয় কিছু মৌসুমি ফল এবং তেঁতুল। একেক বাটি ২০ টাকা করে। দোকানের সামনে প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষা করলেই সেই কাঁচা কলার ভর্তা মেলে।

কাঁচা কলার সঙ্গে পাঁচ-ছয়টা জলপাই, এক চা–চামচ তেঁতুল, পছন্দমতো কাঁচা মরিচ, বেশ কিছু ধনেপাতা, চিনি, বিট লবণ এবং সবশেষে কাসুন্দি দিয়ে ভর্তাটি বানানো হয়। এই ভর্তায় অনেককে আমড়া দিতে খেতেও দেখা যায়। বাড়িতে যাঁদের হামান দিস্তা নেই, তারা ছিলপাঁঠায় থেঁতলেও এই ভর্তা বানাতে পারেন।

স্বাদ সম্বন্ধে জানতে চাইলে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদীজ্জামান খেতে খেতে বলেন, আমি মাঝেমধ্যেই এ ভর্তা খাই। টক–ঝাল–মিষ্টি—সব মিলে খেতে দারুণ লাগে। ক্যাম্পাস থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে এমন ভর্তা সঙ্গী হলে মন্দ লাগে না।

গ্লোবাল ফ্যাশন গার্মেন্টস লিমিটেডের এক কর্মচারী বলেন, ভালো লাগার মতো একটি ভর্তা। এ ভর্তা জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা, শখের বসে অনেকেই খেয়ে থাকেন।

এই ভিন্নধর্মী ভর্তার দোকান দিয়ে বসেন এক মধ্য বয়সী যুবক। তিনি আগে চাকরি করতেন। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে এই ভিন্নধর্মী ভর্তার দোকান দিয়েছেন। তিনি বলেন, আগে অনেক ভালো কিছু করতাম। সাময়িক এ ব্যবস্যা করি।

এই ভর্তার ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে কলাভর্তার পাশাপাশি আমভর্তা, বরইভর্তা, আমড়াভর্তা, শরবত ইত্যাদি পাওয়া যায়।