বাল্যবিবাহ আর উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী সভা

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরে বাল্যবিবাহ আর উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী সভার আয়োজন করা হয়। ছবি: লেখক
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরে বাল্যবিবাহ আর উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী সভার আয়োজন করা হয়। ছবি: লেখক

শিক্ষার্থীদের জন্য পিঠা তৈরির কাজ চলছিল কলেজ ক্যাম্পাসে। পাশেই বাল্যবিবাহ আর উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সভা করছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন। সভা চলার কিছুক্ষণ পরপরই শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হচ্ছিল শীতের হরেক রকম পিঠা। ছিল শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা এবং নিজের কণ্ঠে গান পরিবেশনও।

বাল্যবিবাহ আর উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে সভায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য পিঠার আয়োজন করা হয়। ছবি: লেখক
বাল্যবিবাহ আর উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে সভায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য পিঠার আয়োজন করা হয়। ছবি: লেখক

এসব আয়োজন করা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ এবং উত্ত্যক্তবিরোধী সভাকে ঘিরে। নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে গত সোমবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই ব্যতিক্রমী সভার আয়োজন করেন ইউএনও মো. তমাল হোসেন। সভায় বাল্যবিবাহ ও উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান কতটা সুদৃঢ়, তা নিয়ে বক্তৃতা করে শিক্ষার্থীরা।

ব্যতিক্রমী এ সভা আয়োজনের বিষয়ে ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন, দেশজুড়ে বাল্যবিবাহ ও উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে সভা–সমাবেশ চলছে। এ সভার ভিন্নতা আনা দরকার, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই এসব বিষয়ে আরও সচেষ্ট হওয়ার শক্তি অর্জন করতে পারে। এ জন্যই বাল্যবিবাহ ও উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে শুধু সভা না করে তার সঙ্গে একটু বিনোদন যোগ করা হয়েছে, যাতে এই সচেতনতা মূলক সভাটি শিক্ষার্থীদের স্মৃতির পাতায় গেঁথে থাকে।

বাল্যবিবাহ আর উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে সভায় সচেতনতা বাড়াতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য পিঠার আয়োজন করা হয়। ছবি: লেখক
বাল্যবিবাহ আর উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে সভায় সচেতনতা বাড়াতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য পিঠার আয়োজন করা হয়। ছবি: লেখক

সভায় উপস্থিত ছিলেন রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুহুল করিম আব্বাসী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মাজেম আলী, প্রভাষক মো. মাসুদ রানা, ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক রওরিন প্রমুখ।