ডিআইইউর ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) চার দিনব্যাপী ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়ার স্বাধীনতা মিলনায়তনে এর সমাপনী অনুষ্ঠান হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ও মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক।

রুবানা হক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের নামে ‘আনিসুল হক ভবন’ এর উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ও প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের বোন জেসমিন ওয়াফা।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য ও সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অনুষদের ডিন এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিন মোস্তফা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান সৈয়দ আকতার হোসেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান তৌহিদ ভূঁইয়া, মাল্টিমিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান শেখ মো. আলায়ার, জেনারেল এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান এবিএম কামাল পাশা ও সিআইএস বিভাগের প্রধান মো. সরোয়ার হোসেন মোল্লা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুবানা হক বলেন, বড় লোক হওয়া ও বড় মানুষ হওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষা মানুষকে এই পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার মাধ্যমে তোমরা বড় মানুষ হতে পারবে বলে আশা রাখি।’ তিনি প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আনিসের জীবনের সফলতার পেছনের অন্যতম উপাদান হচ্ছে শৃঙ্খলা। তোমরা বিনয়ী হও। আর সবার আগে পরিবারকে প্রাধান্য দাও।’ এরপর তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত আনিসুল হক স্টাডি সেন্টারে ১০০টি বই উপহারের ঘোষণা দেন।

সভাপতির বক্তব্যে মো. সবুর খান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে ক্যারিয়ারের উন্নয়নের জন্য নিজের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। তরুণদের তাই ছাত্রাবস্থাতেই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে নিজের দক্ষতা তৈরি করতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক নেটওয়ার্ক বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

গত ২২ জানুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই উৎসব শুরু হয়। উৎসবের প্রথম দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে ১০০টি ঘুড়ি উড়ানো হয়। উৎসবের উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।