নোবিপ্রবিতে ব্যতিক্রমী শাড়ি-পাঞ্জাবি ডে উদ্যাপিত

ক্যাম্পাস-জীবনকে স্মরণীয় ও বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম আবর্তনের (অরিত্রিক ১৩) শিক্ষার্থীরা আয়োজন করে শাড়ি-পাঞ্জাবি ডের। ছবি: লেখক
ক্যাম্পাস-জীবনকে স্মরণীয় ও বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম আবর্তনের (অরিত্রিক ১৩) শিক্ষার্থীরা আয়োজন করে শাড়ি-পাঞ্জাবি ডের। ছবি: লেখক

ক্যাম্পাস–জীবনকে স্মরণীয় ও বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১৩তম আবর্তন (অরিত্রিক ১৩)–এর শিক্ষার্থীরা আয়োজন করে ভিন্নধর্মী এক উৎসবের। উৎসবের নাম শাড়ি-পাঞ্জাবি ডে।

বাঙালির ঐতিহ্য লালন করে আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে ক্যাম্পাসে আসেন ১৩তম আবর্তনের সব শিক্ষার্থী।

বেলা দেড়টায় ‘১০১–এর আলোড়ন, অরিত্রিকের বিচরণ’ স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটরিয়ামের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। আনন্দ মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সবাই মেতে ওঠেন আনন্দ আর বাঁধভাঙা উল্লাসে। এরপর শুরু হয় ছবি আর সেলফি তোলা। সবাই একসঙ্গে ফ্রেমে বন্দী করেন নিজেদের।

নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল, ঘুড়ি উৎসব, সংগীত আড্ডা, ফানুস ওড়ানো, আতশবাজিসহ নানা আয়োজন ছিল শাড়ি-পাঞ্জাবি ডেতে। ছবি: শাহরিয়ার নাসের
নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল, ঘুড়ি উৎসব, সংগীত আড্ডা, ফানুস ওড়ানো, আতশবাজিসহ নানা আয়োজন ছিল শাড়ি-পাঞ্জাবি ডেতে। ছবি: শাহরিয়ার নাসের

এদিকে উৎসব উপলক্ষে দেয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে অরিত্রিক ১৩। আনন্দ মিছিল, ঘুড়ি উৎসব, সংগীত আড্ডা, ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজির মধ্য দিয়েই শেষ হয় উৎসব।

উৎসবের সংগঠক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তাহসিন তাবাসসুম অর্ভি বলেন, ‘ব্যতিক্রমধর্মী এমন উৎসবের আয়োজন আমাদের ক্যাম্পাসে আগে কখনো হয়নি। বন্ধুদের বন্ধন সুদৃঢ় ও ক্যাম্পাস–জীবনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং র‌্যাগ ডের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আমরা এ উৎসবের আয়োজন করেছি।’

উৎসবের অপর সংগঠক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আল আদনান সামি বলেন, ‘তৃতীয় বর্ষে ওঠে গেছি আমরা। দেখতে দেখতে চতুর্থ বর্ষে ওঠে যাব। আমরা চাই আমাদের ক্যাম্পাস লাইফটা স্মরণীয় হয়ে থাকুক। ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার পরও কিছু স্মৃতি আবার আমাদের হৃদয়কে আন্দোলিত করুক। মূলত এসবের জন্যই এই উৎসবের আয়োজন।’