ড. জোহা দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি

শহীদ ড. শামসুজ্জোহার স্মরণসভায় বক্তারা। রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ অডিটরিয়ামে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ স্মরণসভার আয়োজন করে। ছবি: ফাত্তাহ তানভীর রানা
শহীদ ড. শামসুজ্জোহার স্মরণসভায় বক্তারা। রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ অডিটরিয়ামে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ স্মরণসভার আয়োজন করে। ছবি: ফাত্তাহ তানভীর রানা

শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহার মতো বিরল প্রতিভার শিক্ষককে হারানো দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, আজকের দিনের শিক্ষকদের শামসুজ্জোহার আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে বক্তারা ড. জোহা দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি জানান। দাবি আদায়ে গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচি পালনের কথাও জানান বক্তারা।

রাজশাহী ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী শামসুজ্জোহার স্মরণে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ মিলনায়তনে স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

শহীদ ড. শামসুজ্জোহার স্মরণসভায় আসা দর্শকেরা। রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ অডিটরিয়ামে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ স্মরণসভার আয়োজন করে। ছবি: ফাত্তাহ তানভীর রানা
শহীদ ড. শামসুজ্জোহার স্মরণসভায় আসা দর্শকেরা। রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ অডিটরিয়ামে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ স্মরণসভার আয়োজন করে। ছবি: ফাত্তাহ তানভীর রানা

স্মরণসভায় প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন সাবেক সচিব দলিল উদ্দিন মন্ডল, সাবেক যুগ্ম সচিব মোহিনী মোহন চক্রবর্তী, হাফিজুর রহমান চন্দন, সাইফুল ইসলাম শিশির, অধ্যাপক রতন সিদ্দীকী, রোকসানা আক্তার, সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর, তেজগাঁও কলেজের উপাধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ, আইয়ুব আলী খানসহ রাকসুর সাবেক নেতারা। এ বি এম জাকিরুল হকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম।

১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে শামসুজ্জোহা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে সর্বপ্রথম শহীদ হন। এরপর থেকে দিনটি ড. জোহা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং রসায়ন বিভাগের তৎকালীন রিডার (সহযোগী অধ্যাপক) ছিলেন। তাঁর আরও একটি পরিচয় হলো, তিনি ছিলেন একজন ভাষাসৈনিক। তাঁর মৃত্যু ১৯৬৯–এর গণ-অভ্যুত্থানকে প্রভাবিত করে এবং আইয়ুববিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করে। আইয়ুব খান সরকারের পতনের পেছনে তাঁর মৃত্যুকে অন্যতম কারণ মনে করা হয়।

জোহার মৃত্যুর ঘটনা সেই সময় দেশের চলমান মুক্তির সংগ্রামে নতুনত্ব যোগ করেছিল। ফলে তৎকালীন সরকার নিরুপায় হয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হন।