ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আগুনে পুড়ল বাগান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দেওয়া আগুনে পুড়েছে মেহগনি ও পেয়ারাবাগান। ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দেওয়া আগুনে পুড়েছে মেহগনি ও পেয়ারাবাগান। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বহিরাগতদের দেওয়া আগুনে পুড়েছে মেহগনি ও পেয়ারাবাগান। গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনের মেহগনি ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের সামনের পেয়ারাবাগানে কে বা কারা আগুন দেয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, আনসার ও শিক্ষার্থীদের প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকজন বহিরাগত যুবক ও কিশোর মেহগনি ও পেয়ারাবাগানের কয়েকটি স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে চারপাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, আনসার ও শিক্ষার্থীদের প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে শৈলকূপা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগ। তারা ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে এর আগেও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আগুন দেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব পরিবারকে সতর্ক করা হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দেওয়া আগুন প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, আনসার ও শিক্ষার্থীদের প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দেওয়া আগুন প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, আনসার ও শিক্ষার্থীদের প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে মাদক সাপ্লাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। রাত বাড়লেই তাদের আনাগোনা বেড়ে যায়। বিভিন্ন সময় ছিনতাই ও ছাত্রীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হোক। আর যারা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘জড়িতদের পরিবারের তথ্য সংগ্রহের জন্য নিরাপত্তা বিভাগ কাজ করছে। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। আমরা এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব।’

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়