স্টামফোর্ডে ৭২তম ব্যাচকে বরণ করে নিল তারুণ্য ৬৭

ঋতু রাজ বসন্তের সঙ্গে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বরণ করে নিলেন নবীন শিক্ষার্থীদের। ছবি: লেখক
ঋতু রাজ বসন্তের সঙ্গে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বরণ করে নিলেন নবীন শিক্ষার্থীদের। ছবি: লেখক

শীতের রিক্ততাকে বিদায় জানিয়ে বসন্ত এসেছে। প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। কৃষ্ণচূড়া, পলাশ গাছগুলো রক্তের রং ধারণ করেছে। শুধু গ্রাম নয় কনক্রিটের শহরও জুড়ে লাল হলুদের আভা। সেই ঋতু রাজ বসন্তের সঙ্গে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বরণ করে নিলেন নবীন শিক্ষার্থীদের। ৭২ তম ব্যাচকে বরণ করে নিল তারুণ্য ৬৭।

বদলে গেছে বাংলা বর্ষপঞ্জি। নতুন সংশোধিত বর্ষপঞ্জিতে পয়লা ফাল্গুন অর্থাৎ বসন্তের প্রথম দিনেই হচ্ছে ভালোবাসা দিবস, আর বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বসন্তের প্রথম দিন অর্থাৎ পয়লা ফাল্গুন ছিল ১৩ ফেব্রুয়ারি। তাই গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বসন্তের মিষ্টি রোদের বরণ ডালা সাজিয়ে নবীন সারথীদের নিয়ে আয়োজন করে ‘উদ্যামী’।

শিশির ভেজা সকালে নবীনেরা একে একে ভিড় জমান ক্যাম্পাসে। প্রথম বরণে আনন্দ-আড্ডায় জড়িয়ে ধরেন প্রিয় সহপাঠীদের। নবীন এই শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে আগেই হাজির হন অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকেরা।

অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল ভিন্নমাত্রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসন্তের গ্রাম বাংলার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন পারফরম্যান্সের মাধ্যমে। ছবি: লেখক
অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল ভিন্নমাত্রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসন্তের গ্রাম বাংলার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন পারফরম্যান্সের মাধ্যমে। ছবি: লেখক

ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা। নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ৬৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, এ আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আনন্দের। আনন্দঘন দিনের মধ্য দিয়ে শুরু হোক নবীনদের পথচলা।

একদিকে বসন্তের হাওয়া অন্যদিকে ভাষার মাস সব মিলিয়ে এবারের আয়োজনটা ছিলো ভিন্ন রকম। ক্যাম্পাস জুড়ে আঁকানো হয়েছে গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি। দেওয়ালে দেওয়ালে লাগানো হয়েছে বাংলা বর্ণমালা। কাশফুলের সঙ্গে প্রজাপতির উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য পেইন্টিংয়ের সাহায্যে তুলে ধরেছেন দুই শিক্ষার্থী অদিতি ও জিতু।

ভাষার গান, কবিতা, আর গাঁয়ের বধু থেকে শুরু করে কৃষক, নৌকার মাঝিদের জীবন চক্র তুলে ধরা হয় ফ্যাশান শো-এর মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব। ছবি: লেখক
ভাষার গান, কবিতা, আর গাঁয়ের বধু থেকে শুরু করে কৃষক, নৌকার মাঝিদের জীবন চক্র তুলে ধরা হয় ফ্যাশান শো-এর মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব। ছবি: লেখক

সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানও সাজানো হয়েছে ভিন্নমাত্রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসন্তের গ্রাম বাংলার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন পারফরম্যান্সের মাধ্যমে। ভাষার গান, কবিতা, আর গাঁয়ের বধু থেকে শুরু করে কৃষক, নৌকার মাঝিদের জীবন চক্র তুলে ধরা হয় ফ্যাশান শো-এর মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম পর্ব।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়াম ভরে ওঠে সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায়। সাবেক শিক্ষার্থীরা এখন বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক। এই স্বপ্ন দ্রষ্টাদের কাছে পেয়ে উচ্ছাসে মেতে ওঠেন হবু সাংবাদিকেরা।

সূর্যটা যখন পশ্চিম দিগন্তের পানে তখন ইতি ঘটে আয়োজনের। প্রত্যেকের শরীর ক্লান্ত হলেও মনের আনন্দের জোয়ারে বিলীন হয়ে গিয়েছিল সে ক্লান্তি। এক মধুর স্মৃতি মনের ডায়েরিতে যুক্ত করে সবাই ঘরে ফেরে।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের ৭২ তম ব্যাচকে বরণ করে নিল তারুণ্য ৬৭। শিক্ষার্থীরা মধুর স্মৃতি মনের ডায়েরিতে যুক্ত করে ঘরে ফেরেন।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের ৭২ তম ব্যাচকে বরণ করে নিল তারুণ্য ৬৭। শিক্ষার্থীরা মধুর স্মৃতি মনের ডায়েরিতে যুক্ত করে ঘরে ফেরেন।

একদিকে নবীনদের বরণ অন্যদিকে প্রবীণদের বিদায়। তাই প্রতিবারই মিলিত হন হবু ও বর্তমান সাংবাদিকেরা। তারা কেউ স্টামফোর্ডের বর্তমান শিক্ষার্থী, কেউবা সবেমাত্র ছাত্রজীবন শেষ করে পৌঁছেছেন স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। তাদের কাছে ক্যাম্পাসের আনন্দময় দিনগুলোর মধ্যে আজকের এ দিনটি অন্যতম। তাই ভালোবাসার টানে মিলিত হয় সাংবাদিকতার বন্ধনে।

লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়