বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থীর কাছে খোলা চিঠি

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, ভালোবাসা নিয়ো প্রাণভরে...

তোমরা নিশ্চয়ই একমত হবে যে এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা শিক্ষারই একটি অংশ। কারণ, আমরা জানি যে সচেতনতা, সতর্কতা, একে অন্যের ভয়ের কারণ না হওয়া—সবই শিক্ষার অংশ।

আন্তরিকভাবে আশা করি ‘বাড়িতে থেকে’ অনুগ্রহ করে মা-বাবা, নানা-নানি, দাদা-দাদি অথবা যে মুরব্বিই থাকুন না কেন, তাঁদের যত্ন নেবে। ‘বাড়িতে থেকে’ কথাটা বিশেষভাবে বলার কারণ হলো, তোমার অহেতুক ঘোরাঘুরিতে বাড়িতে থাকা বয়স্ক মানুষটি সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন, যার ঝুঁকি তোমার চেয়ে বেশি।

দেশের মানুষের স্বার্থে বিধিনিষেধ বা নিয়ম মানার শিক্ষাটা জরুরি।

আগামী দিন যদি আরও খারাপ সংবাদ আসে, তবু মনোবল হারাবে না। বরং তোমাদের তরুণ হৃদয় যেন মানবিকতার বিষয়টি মাথায় রেখে সমাজকে রাখে শান্ত এবং বিবেকপূর্ণ। কারণ, বিপদে মানুষের ‘বিবেক’ লোপ পায় দ্রুত।

মনে রেখো, মানবিক শক্তি, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা—এসব দিয়েই সৃষ্টিকর্তা আমাদের পাঠিয়েছেন, জাগ্রত রাখার দায়িত্বটা আমাদের।

অনেকেরই সামনে পরীক্ষা রয়েছে। সুতরাং বন্ধের এ সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে যথাযথভাবে। বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা এখন একে অন্যের সঙ্গে অশরীরীয় কিন্তু কার্যকরভাবে যুক্ত থাকতে পারি। সুতরাং বন্ধের এই সময়টায় শিক্ষকদের সঙ্গে তোমরা অনলাইনে যুক্ত থাকবে। অনলাইনে ক্লাস এখন একটা বৈশ্বিক বিষয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ‘শিক্ষা’ বন্ধ থাকছে না। বরং আমাদের এগোতে হবে দ্বিগুণ গতিতে, গড়ে তুলতে হবে শিক্ষা ও অর্থনীতির নতুন বনিয়াদ।

অনলাইন ক্লাস চালু করলে আমাদের বাড়তি পাওনা আছে। মাঝেমধ্যে মা-বাবা, নানা-নানি, দাদা-দাদি অথবা বাড়িতে থাকা মুরব্বিরা তোমাদের স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপে চোখ রাখতে চাইবেন, ভুলেও তাঁদের ‘না’ বোলো না। এবার তাঁরা ঠিকই বুঝবেন ‘টেকনোলজি’ তোমাদের অনেক কাজে লাগে, বদলে যাবে পূর্ব ধারণা। সেই সূত্রে বদলে যাবে আমাদের শিক্ষাপদ্ধতির অনেক কিছু, সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে।

লেখক: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জেনারেল এডুকেশন ডেভেলপমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর