কটিয়াদিতে ৪০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে করোনার প্রভাবে বেকার ও দুস্থ ৪০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে করোনার প্রভাবে বেকার ও দুস্থ ৪০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে কটিয়াদি পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে করোনার প্রভাবে বেকার ও দুস্থ ৪০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১টি সাবান, ১ কেজি ডাল ও ১টি করে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

গত মঙ্গলবার পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বোয়ালিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দরিচরিয়াকোনা ও ভরাদিয়া, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরিয়াকোনা, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কামারকোনা ভোকপাড়া, ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়া, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদর, বাগরাইট, বেথৈরসহ ৯টি ওয়ার্ডে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র শৌকত উসমান, পৌরসচিব আলমগীর হোসেন, পৌর প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান শাকিল, মিন্টু মিয়া, কাউন্সিলর সোহরাব উদ্দিন, রনবীর সিং, বিপদ চন্দ্র সাহা, জয়নাল আবেদীন সেলিনা আক্তার, শরীফ সরকার, তিতাস বেগম প্রমুখ।

চরিয়াকোনা এলাকার রিনা আক্তার বলেন, ‘এই অভাবের সময় খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আমাদের বড়ই উপকার হলো।’দড়ি চড়িয়াকোনা গ্রামের বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘কাজ নেই, কষ্টে ছিলাম। এখন খেতে পারব।’

পৌর প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুধু চালগুলো ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি। বাদবাকি খাদ্যসামগ্রী পৌর ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে।’ পৌর সচিব আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা করোনা নির্মূলে স্প্রে এবং ব্লিচিং পাউডার ছিটানোসহ মানুষকে করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে সচেষ্ট আছি।’ মেয়র শৌকত উসমান বলেন, আরও চাল বরাদ্দ পেয়েছি, পর্যায়ক্রমে দুস্থ, কর্মক্ষম অভাবী মানুষকে সহযোগিতা করা হবে। ধনী মানুষকে এ কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।