ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউর ঈদ পুনর্মিলনী অনলাইনে

ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান বিতার্কিকেরা অনলাইনে যুক্ত হন। ছবি: সংগৃহীত
ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান বিতার্কিকেরা অনলাইনে যুক্ত হন। ছবি: সংগৃহীত

দুই মাসের বেশি অলস সময় অতিবাহিত করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এর ব্যতিক্রম নন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময় ভার্চ্যুয়াল আড্ডা দিয়ে সময় অতিবাহিত করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদের। এর ধারাবাহিকতায় ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউ প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।

গতকাল শনিবার (৩০ মে) বেলা তিনটায় শুরু হয়ে অনুষ্ঠানটি চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। করোনার সংকটময় মুহূর্তে একটুখানি স্বস্তির পরশ বয়ে দিতে এমন আয়োজন করেছে সংগঠনটি।

হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মো. ফজলুল হকের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। এ সময় আরও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন হাবিপ্রবির হিসাব শাখার পরিচালক মো. শাহাদাৎ হোসেন খান ও জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক শ্রীপতি সিকদারসহ অন্যরা।

শুভেচ্ছা বক্তব্য ও পরিচয় পর্ব শেষে শুরু হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ডিবেটিং সোসাইটির সদস্যদের অংশগ্রহণে সংসদীয় মডেল বিতর্কের বিষয় ছিল, এই সংসদ মনে করে করোনা-পরবর্তী স্বাস্থ্য খাত হবে আরও বেশি সমৃদ্ধ। বিতর্কে মডারেটর ছিলেন হাবিপ্রবির ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক সুব্রত কুমার প্রামাণিক।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউর বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা। এর মধ্যে ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. নূরে আলম সিদ্দিক, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে কর্মরত কৃষিবিদ কাবিদ আহমেদ মানিক, ব্র্যাকের সিড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম (পিএইচডি, জেনেটিকস অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ট্রেনিং ডিএসএইচইয়ের সহকারী পরিচালক মাজহারুল হক মাসুদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তপন কুমার রায়, এস আই সাদ্দাম হোসেন, কামরুজ্জামান খান, ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমানসহ সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা।

হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিবেটিং সোসাইটির এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সদস্যরা করোনায় সার্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন।

সংগঠনের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম শিহাব বলেন, সমগ্র পৃথিবী যখন করোনা সংকটে গৃহবন্দী, ঠিক তখনই ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউ পুরোনো স্মৃতির ক্যালেন্ডারটি সজীব করার লক্ষ্যে আয়োজন করল ভার্চ্যুয়াল ঈদ পুনর্মিলনী-২০২০, তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদে যা দেশের এমন বৈরী পরিস্থিতিতেও সাবেক-বর্তমানদের মেলবন্ধনে একটি অনন্য মাত্রা যুক্ত হয়েছে।

এদিকে বিতর্কের পাশাপাশি অনুষ্ঠানটিতে ছিল স্মৃতিচারণা, উন্মুক্ত আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘জুম অ্যাপস’-এর মাধ্যমে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানটি ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউর ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করা হয়।