রৌমারীতে স্বেচ্ছাশ্রমে ২০০ হাত বাঁশের সাঁকো তৈরি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ২০০ হাত বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন স্থানীয় যুবকেরা। ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ২০০ হাত বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন স্থানীয় যুবকেরা। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চল শৌলমারী ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা গ্রাম গয়টাপাড়া। সেই গ্রামের কয়েকজন তরুণ মিলে গড়ে তুলেছেন একটা সংগঠন, যার নাম সততা সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটির ইচ্ছায় এবং এলাকার সাধারণ জনগণ ও ছাত্রছাত্রীদের চলাচলের জন্য গয়টাপাড়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে ২০০ হাত লম্বা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়।

গয়টাপাড়া সততা সামাজিক সংগঠনের নেতারা ও গ্রামবাসী বাড়ি বাড়ি এক সপ্তাহ ঘুরে বাঁশ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমে জিনজিরাম নদীর ওপর এই বাঁশের সাঁকো নির্মাণকাজ শুরু করেন। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর গত শুক্রবার সাঁকোটি গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
গয়টাপাড়া, নতুন শৌলমারী, চরের গ্রামসহ ছয় গ্রামের শত শত মানুষ নৌকা দিয়ে পারাপার হতো। নদীর পূর্ব পারে রয়েছে গয়টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ৬টি মসজিদ। কিন্তু নদীর ওপর সেতু না থাকায় তারা ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকা দিয়ে জিনজিরাম নদী পারাপার হতো।
এমন অবস্থায় গয়টাপাড়া সততা সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে জিনজিরাম নদীর ওপর বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়।

সাঁকোর কাজ চলছে। ছবি: সংগৃহীত
সাঁকোর কাজ চলছে। ছবি: সংগৃহীত

এ ব্যাপারে গয়টাপাড়া সততা সামাজিক সংগঠনের সভাপতি রুবেল আহমেদ বলেন, ‘এলাকার ছাত্রছাত্রী এবং জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাঁশ সংগ্রহ করে নিজেদের অর্থায়নে অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করে এক সপ্তাহ ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে সেতু নির্মাণ করেছি। আমরা সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে সততা সামাজিক সংগঠন গঠন করেছি। সবাই সহযোগিতা এবং দোয়া করবেন, যেন আগামী দিনে আরও ভালো ভালো কাজ করতে পারি।’