শুভ জন্মদিন, নোবিপ্রবি

২০০৬ সালের ২২ জুন দেশের ২৭তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আশরাফুল ইসলাম শিমুল
২০০৬ সালের ২২ জুন দেশের ২৭তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আশরাফুল ইসলাম শিমুল

২০০৬ সালের ২২ জুন দেশের ২৭তম পাবলিক এবং ৫ম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

শুরুতে মাত্র ৪টি বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক, ১৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও মাত্র ১৪ বছরের ব্যবধানে নোবিপ্রবিতে বর্তমানে ৬টি ফ্যাকাল্টি, ২টি ইনস্টিটিউট ও ৩০টি বিভাগ চালু রয়েছে। সেশনজটমুক্ত পরিবেশে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদানে নিয়োজিত আছেন প্রায় ৩০০ জন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত শিক্ষক, যা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় অর্জন।

প্রতিষ্ঠার মাত্র ১৪তম বর্ষে দাঁড়িয়ে গড়ে ওঠার গল্পই যেন চলছে ১০১ একরের ক্যাম্পাসজুড়ে। বছর দুয়েক আগেই ৪ লাখ ৩২ হাজার স্কয়ার ফিটের ২০ তলা বিল্ডিংবিশিষ্ট দেশের অন্যতম বৃহত্তম একাডেমিক ল্যাব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে নোবিপ্রবিতে। নির্মাণকাজ চলছে সমৃদ্ধ মেডিকেল সেন্টার, মসজিদ ভবন এবং উপাসনালয়সহ আরও প্রয়োজনীয় নানান অবকাঠামোর। শেষ হয়েছে অন্যতম নান্দনিক বিশাল দুটি ছাত্রী হল তৈরির কাজ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিদিনই প্রায় ২৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি: আশরাফুল ইসলাম শিমুল
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিদিনই প্রায় ২৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি: আশরাফুল ইসলাম শিমুল

গবেষণাতেও সমৃদ্ধি অর্জনে লক্ষ্যে প্রক্রিয়াধীন পরিকল্পনায় আছে, ক্যাম্পাসের অদূরেই ৮৭৫ একর জায়গাজুড়ে বাংলাদেশের একমাত্র ‘আন্তর্জাতিক সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট’ তৈরি। এত সব গড়ে ওঠার গল্পের মধ্যেই চলছে অসংখ্য মেধাবীর জীবনের লক্ষ্য পূরণের অন্তহীন প্রচেষ্টা। এই ক্যাম্পাসের সুশীতল সবুজের ছায়ায় হাজারটা স্বপ্নের বীজ বোনা হয়।

শান্তিনিকেতনের চায়ের আড্ডা কিংবা পাশে থাকা ছোট্ট বুকশেলফ থেকে বই নিয়ে সেটায় দুপুরের রোদ ছায়ায় বেঞ্চিতে মনোযোগী পাঠক হয়ে ওঠে কেউ কেউ। কেউ বা নীলদীঘির ঘাটে আড্ডায় মাতিয়ে রাখে বন্ধুদের। কেউ ক্লাসের ফাঁকে গিটারে তোলে সুর, কারও হয়তো মন খারাপের বিকেলে টঙে বসে নিকোটিন আর এক কাপ চায়ে সময় পার হয়। মহামারির দিনগুলোয় ক্যাম্পাস এখন আর শিক্ষার্থীদের এমন সরব গল্পে মুখরিত নয়। তিন মাস পেরিয়ে আসা ছুটি আর কত দিনে গড়াবে কেউ বলতে পারে না। তবু জাতির এই ক্রান্তিকালে নোবিপ্রবি পালন করছে গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা। গত মাসের শুরু থেকে দেশের দ্বিতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে চলছে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়টিরই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিদিনই প্রায় ২৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এমন করেই নানান সময়ে দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠ।

শুরুতে মাত্র ৪টি বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক, ১৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও মাত্র ১৪ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে ৬টি ফ্যাকাল্টি, ২টি ইনস্টিটিউট ও ৩০টি বিভাগ চালু রয়েছে নোবিপ্রবিতে। ছবি: আশরাফুল ইসলাম শিমুল
শুরুতে মাত্র ৪টি বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক, ১৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও মাত্র ১৪ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে ৬টি ফ্যাকাল্টি, ২টি ইনস্টিটিউট ও ৩০টি বিভাগ চালু রয়েছে নোবিপ্রবিতে। ছবি: আশরাফুল ইসলাম শিমুল

শুভ জন্মদিন, প্রাণের ক্যাম্পাস। সমৃদ্ধ হোক নিরন্তর পথচলা।

* শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়