ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজের গৌরবের ৫০ বছর

১ জুলাই ২০২০। দিনটি থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে (১৯৭০ সালে) সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও চেষ্টায় ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজ উচ্চমাধ্যমিক কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সময়ের চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে এলাকার উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই থেকে কলেজটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি কলেজের উন্নতি হয়। তখন থেকেই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার একমাত্র উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এই কলেজ এলাকার শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

এরপর থেকে আর কলেজটিকে আর ফিরে থাকাতে হয়নি। সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী ২০০৯ সালে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হওয়ার পর থেকে কলেজটির রং যেন আরও উজ্জ্বল হতে লাগল। শিক্ষকস্বল্পতা দূর করাসহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে সাংসদের চেষ্টায়। শিক্ষাবান্ধব সভাপতির প্রচেষ্টায় ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ হতে কলেজটিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয়। বর্তমানের চারটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু আছে। কলেজটি সরকারীকরণের জিও জারি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সাংসদ কলেজ পরিচালনার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রপথিক, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগের মেয়াদে থাকাকালীন সরকারি কলেজবিহীন উপজেলাগুলোয় একটি করে কলেজ সরকারীকরণের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৬ সালে ৩০ জুন কলেজটি সরকারীকরণের জন্য তালিকাভুক্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট কলেজটি সরকারীকরণ করে জিও প্রকাশ করা হয়।

চা–বাগান আর বৃক্ষরাজিশোভিত পাহাড়ি টিলায় অতি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ কলেজটি বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারী ৪০ জন এবং শিক্ষার্থীসংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে কলেজটি ইতিমধ্যে স্বকীয় ঐতিহ্যের ধারা সৃষ্টি করেছে।

*প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট