দুস্থদের সহায়তায় 'প্রচেষ্টা শান্তি সংঘ'

ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় করোনা সংকটে বিপাকে পড়া পরিবারের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ১০ টাকার বাজার। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় করোনা সংকটে বিপাকে পড়া পরিবারের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ১০ টাকার বাজার। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ঘাটারচর এলাকায় করোনা সংকটে বিপাকে পড়া পরিবারের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ১০ টাকার বাজার। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রচেষ্টা শান্তি সংঘ’র একক প্রচেষ্টায় গতকাল শুক্রবার (১০ জুলাই) ঘাটারচরের ওলামানগর ন্যাশনাল উচ্চবিদ্যালয়ের স্কুল মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো ১০০ অসহায় পরিবারের জন্য এই বাজারের আয়োজন করা হয়েছিল। এই উদ্যোগের সহায়তা করেছেন তারানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক।

মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে ১ কেজি আটা, ১ কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, ১ প্যাকেট নুডলস, দুটি ডিম দেওয়া হয়। শাকসবজির মধ্যে ছিল ১টি মিষ্টি কুমড়া, ১টি জালি কুমড়া, আধা কেজি ঢ্যাঁড়স, ১ আঁটি পুঁইশাক, ১ আঁটি লালশাক ও ‍দুটি লেবু।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে কর্মহীন হয়ে পড়া এই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে নামমাত্র মূল্যে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহে এগিয়ে আসে প্রচেষ্টা শান্তি সংঘ। দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত ছাড়াও বেশ কয়েকটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারও সহায়তা নিয়েছে। মানুষ যাতে ত্রাণসামগ্রী না ভাবে, তাই মাত্র ১০টাকার বিনিময়ে এই আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিউল আলম হাসিব বলেন, ‘লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে আমরা মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেছি। এলাকাবাসীকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে। আজকের আয়োজনটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আয়োজন করেছি। সবার সহযোগিতা পেলে এমন আরও কিছু আয়োজন করতে চাই।’

ঘাটারচরের ওলামানগর ন্যাশনাল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো ১০০ অসহায় পরিবারের জন্য এই বাজারের আয়োজন করা হয়েছিল। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ঘাটারচরের ওলামানগর ন্যাশনাল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো ১০০ অসহায় পরিবারের জন্য এই বাজারের আয়োজন করা হয়েছিল। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

প্রচেষ্টা শান্তি সংঘের সহসভাপতি কাউসারুজ্জামান রনি বলেন, ‘চার মাস ধরে সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। খাদ্যসামগ্রী ছাড়াও বিনা মূল্যে মাস্ক, সাবানসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছি। শুরুতে অনেকেই এগিয়ে এসেছিলেন, যাঁদের মাধ্যমে আমরা একটি ফান্ড গঠন করেছিলাম। এ ইভেন্টে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আপাতত আমাদের ফান্ড কমে এসেছে। মানুষের কল্যাণে আমাদের সঙ্গে যদি কেউ সম্পৃক্ত হতে চান, তাহলে তাঁদের স্বাগত জানাই। ইচ্ছা আছে প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে এমন নামমাত্র মূল্যে খাদ্যসামগ্রীর বাজার আয়োজন করার।’

সংগঠনটির পক্ষ থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি