কথা ছিল পতিসরেও বিশ্ববিদ্যালয় হবে

ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান ভারতীয় বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন। নোবেল লাভের পর তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আজ আপনার সবচেয়ে বেশি আনন্দ এবং বেদনা কী? প্রত্যুত্তরে রমন বলেছিলেন, ‘আমি নোবেল পেয়েছি এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর কী হতে পারে! আর সবচেয়ে বেদনার বিষয়, আমি কী বিষয়ে নোবেল পেলাম, তা আমার মাকে বোঝাতে পারলাম না!’ কথাটা বললাম এই জন্য, দেড় যুগ পেরিয়ে গেল, অনেক চেষ্টা করেও আরেক বাঙালি নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব জমিদারি পতিসরের গুরুত্ব লিখতে সক্ষম হতে পারলাম না। সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর জানানো হয়েছিল, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতেই এ বিশ্ববিদ্যালয় হবে। একই সঙ্গে আরও দুটি ক্যাম্পাস কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ও নওগাঁর পতিসরে থাকবে।

২০১১ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ ইশতেহারে বাংলাদেশে শান্তিনিকেতনের আদলে একটি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। সে মাফিক ২০১৫ সালে একটি খসড়া আইন তৈরি হয়। তাতে কবির স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা পত্রপত্রিকায় প্রকাশও করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ৭ মে প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে দেশে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে। কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস। আগামীকাল ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। তাঁর ১৫৪ তম জন্মবার্ষিকীতে শাহজাদপুরে “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ”-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ও নওগাঁর পতিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থাকবে।’ অনুরূপ খবর প্রকাশিত হয়েছিল ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে।

তাহলে পতিসরের ক্যাম্পাস গেল কোথায়? জিজ্ঞাসা কষ্টের, কেননা পতিসর ছিল রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব জমিদারি। পূর্ববঙ্গে ঠাকুর পরিবারের বাংলাদেশে তিনটি জমিদারি ছিল। যৌথ সম্পত্তির সবশেষ ভাগে বিরাহিমপুর ও কালীগ্রাম পরগনার মধ্যে সত্যেন্দ্রনাথের পুত্র সুরেন্দ্রনাথকে তাঁর পছন্দের অংশ বেছে নিতে বললে তিনি তখন বিরাহিমপুরকে পছন্দ করেন। তখন স্বভাবতই রবীন্দ্রনাথের অংশে এসে পরে কালীগ্রাম পরগনা, যার সদর ছিল পতিসর।

যা হোক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যখন পালন করছি, তখন অবহেলিত জনপদ নওগাঁর একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২১ জুন দ্রুত খসড়া আইন প্রণয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে চিঠিও পাঠানো হয়েছে, খরটা নওগাঁবাসীর জন্য আনন্দের এবং গর্বের তো বটেই। তবে আরও আনন্দের হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পতিসর নির্বাচিত করে আইন চূড়ান্ত করলে।

এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ চায় একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালির জন্মশতবার্ষিকী আমরা যখন পালন করছি তখন আরেকজন শ্রেষ্ঠ বাঙালি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চারণভূমি নওগাঁর পতিসরেই বিশ্ববিদ্যালয় করা হোক। কেননা বঙ্গবন্ধু কন্যা শাহজাদপুরে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ’ করেছেন, শিলাইদহেও করেছেন, বাকি আছে শুধু রবিতীর্থ হিসেবে খ্যাত নওগাঁর পতিসর। তাই মুজিব বর্ষে পতিসরবাসীর এমন চাওয়া অমূলক নয়।

১৮৯১ সালের ১৩ জানুয়ারি নিজ জমিদারি পতিসরে এসে কবি চারদিকে ঘুরেফিরে বেড়িয়েছেন যেমন নাগর নদে ভেসে, তেমনি নাগর নদের পাড়ে, মাঠে এবং আশপাশে হেঁটে। সে দেখার অভিজ্ঞতা নিঃশব্দে প্রভাব ফেলেছে কবির অন্তরে। তাই তাঁকে বলতে শুনি, ‘তোমরা যে পারো যেখানে পারো এক-একটি গ্রামের ভার গ্রহণ করিয়া সেখানে গিয়া আশ্রয় লও। গ্রামগুলিকে ব্যবস্থাবদ্ধ করো। শিক্ষা দাও, কৃষি শিল্প ও গ্রামের ব্যবহার-সামগ্রী সম্বন্ধে নতুন চেষ্টা প্রবর্তিত করো।’ (রবীন্দ্ররচনাবলী ১০ম খণ্ড পৃ. ৫২০-২১)। এ প্রভাব তার মানবিক চেতনাকে উদ্দীপ্ত করেই সম্ভবত তাকে সাধারণ মানুষের, দুস্থ গ্রাম্য চাষির জটিল সমস্যা জীবনের গভীরে নিয়ে গেছে স্বাভাবিকতায়।

এমনি এক আত্মিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ চরম সত্য উপলব্ধি করে বুঝতে পারেন এই এলাকার প্রজা চাষিদের দুঃখ দুর্দশার প্রধান কারণ অশিক্ষা। অপর দিকে, মৃত্যুর তিন বছর পূর্বে পতিসরে উচ্চশিক্ষার প্রয়াস ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘সংসার থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্বে তোমাদের দেখার ইচ্ছা ছিল, তা আজ পূর্ণ হলো। তোমরা এগিয়ে চলো— জনসাধারণের জন্যে সবার আগে চাই শিক্ষা—এডুকেশন ফার্স্ট, সবাইকে শিক্ষা দিয়ে বাঁচাও।’

সেদিক থেকে বিবেচনা করে পতিসরবাসীর দীর্ঘদিন থেকে যে দাবি তুলেছেন, তা অযৌক্তিক নয়। পতিসরবাসীর চাওয়াকে সমর্থন জানিয়ে গণমাধ্যমকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলছেন, ‘নওগাঁর পতিসরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি যুক্তিসংগত। প্রধানমন্ত্রী সদয় হলে নওগাঁয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সম্ভব হবে।’ তিনি এই দাবি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথাও জানিয়েছেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে একমত এবং আশাবাদী যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে রবীন্দ্রনাথের পতিসরের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করবেন।

বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের কৃষি খাত অনেকটা হুমকির সম্মুখীন এবং তা মোকাবিলার জন্য এই এলাকার মাটির গঠন, পানির স্তর, জলবায়ু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের সমন্বয়ে কৃষি খাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অপরিহার্য। যার সুবিধা শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দেশের সামগ্রিক কৃষি খাতকে আরও উৎপাদনশীল করতে সহায়তা করবে। স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে গবেষণার যেমন সুযোগ ঘটবে, তেমনি শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনেও যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হবে। স্বপ্নটা দেখেছেন খোদ রবীন্দ্রনাথ নিজেই, তাই পতিসরের স্বল্প আয়ের অল্পশিক্ষিত প্রজা চাষিদের আধুনিক চাষে প্রবৃত্ত করতে নিজ পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জামাতাকে কৃষিতে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে চিঠিতে লিখেছেন, ‘তোমরা দুর্ভিক্ষপীড়িত প্রজার অন্নগ্রাসের অংশ নিয়ে বিদেশে কৃষি শিখতে গেছ। ফিরে এসে এই হতভাগ্যদের অন্নগ্রাসের কিছু পরিমাণেও যদি বাড়িয়ে দিতে পারো তাহলে মনে সান্ত্বনা পাব। মনে রেখো জমিদারের টাকা চাষির টাকা এবং এই চাষিরাই তোমাদের শিক্ষার ব্যয়ভার নিজেরা আধপেটা খেয়ে এবং না খেয়ে বহন করছে। এদের ঋণ সম্পূর্ণ শোধ করবার দায় তোমাদের ওপর রইল। নিজেদের সাংসারিক উন্নতির চেয়েও এইটেই তোমাদের প্রথম কর্তব্য হবে।’ (চিঠিপত্র ১৯ পৃ. ১১১)। পরে কলের লাঙলসহ পতিসরে আধুনিক কৃষির কাজে নিয়োজিত করেছিলেন। তাই পরিষ্কার বলা যায়, পতিসরে যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি উঠেছে তা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখানো পথ।

পতিসরে বিশ্ববিদ্যালয় করার মতো প্রয়োজনীয় জায়গা জমি রবীন্দ্রনাথ নিজেই রেখে গেছেন। বিশাল এলাকাজুড়ে রবীন্দ্র অনুরাগী সাংসদ ইসরাফিল আলম কর্মপরিকল্পনা হাতেও নিয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজ থেকে ১০০ বছর আগে পতিসরে এসে বুঝতে পেরেছিলেন গ্রামের হতদরিদ্র, অসহায়, অশিক্ষিত মানুষকে শিক্ষিত করতে না পারলে আলোকিত ক্ষুধামুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব নয়। সে কারণে কালীগ্রামে (১৯০৫ সালে) গড়ে তুলেছেন কৃষি সমবায় ব্যাংক, হিতৈষী সভার উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন গ্রামে গ্রামে অবৈতনিক পাঠশালা, বিভাগের মধ্যে ইংরেজি ও কেন্দ্রে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়। পতিসরে পুত্রের নামে ‘কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশন’ স্থাপন করে আশীর্বাণীতে লিখলেন, ‘রথীন্দ্রনাথের নাম চিহ্নিত কালীগ্রামের এই বিদ্যালয়ের আমি উন্নতি কামনা করি। এখানে ছাত্র এবং শিক্ষকদের সম্বন্ধ যেন অকৃত্রিম স্নেহের এবং ধৈর্য্যের দ্বারা সত্য ও মধুর হয়—এই আমার উপদেশ। শিক্ষাদান উপলক্ষে ছাত্রদিগকে শাসন পীড়নে অপমানিত করা অক্ষম ও কাপুরুষের কর্ম—একথা সর্ব্বদা মনে রাখা উচিত। এরূপ শিক্ষাদান প্রণালী—শিক্ষকদের পক্ষে আত্মসম্মানের হানিজনক। সাধারণতঃ আমাদের দেশে অল্পবয়স্ক বালকগণ প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষকদের নির্মম শাসনের উপলক্ষ্য হইয়া থাকে—একথা আমার জানা আছে। সেই কারণেই সতর্ক করিয়া দিলাম।’

মূল লক্ষ্য ছিল যথাযথ শিক্ষাদানের মাধ্যমে গ্রামবাসীর মানসিক উন্নতি ঘটানো, সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিশ্চয়তার বিধান। ঢাকার ছাত্র-জনতার উদ্দেশে এই সমাজ ভাবনার কথাই বলেছিলেন বেশ কিছু কাল পর (১৯২৬ সালে )।

মৃত্যুর কয়েক বছর আগেও কবিগুরু বলেছেন, ‘শ্রেষ্ঠত্বের উৎকর্ষে শিক্ষা সকল মানুষের অধিকার। গ্রামে গ্রামে মানুষকে সেই অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সকলের চেয়ে বড় দরকার শিক্ষার সাম্য।’ (পল্লীপ্রকৃতি) এক কথায় তাঁর পূর্বাপর লক্ষ্য গ্রামবাসীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক উন্নয়ন এবং গ্রাম ও নগরের বৈষম্য হ্রাস করা, গ্রাম যেন শহরের উচ্ছিষ্টভোজী না হয়, সে লক্ষ্যে নিজস্ব জমিদারির ২৩০ বর্গমাইল আয়তনের কালীগ্রাম পরগনার ৬০০টি গ্রামের সাধারণ মানুষের শিক্ষার কথা বিবেচনা করে অবৈতনিক পাঠশালা চালু করেন।

এ কথা সত্য, সীমিত পরিসরে রবীন্দ্রনাথের গ্রাম উন্নয়ন পরিকল্পনা পতিসরে সফল হয়েছিল। তার লক্ষ্য ছিল, গ্রামে গ্রামে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করা, আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষির উন্নতি ও কুটিরশিল্পের বিকাশ ঘটানো এবং বিকল্প বা উদ্বৃত্ত অর্থের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর গ্রাম গড়ে তোলা; যা তিনি কালীগ্রাম পতিসর থেকেই শুরু করেছিলেন।

বিধায় রবীন্দ্রনাথের গ্রামোন্নয়ন ও শিক্ষা বিস্তারের মডেল ভূমি হিসেবে খ্যাত রবিতীর্থ পতিসরে রবীন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা বহু অংশে বৃদ্ধি পাবে। দরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তা মতামত ও সিদ্ধান্ত। কারণ, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদে পতিসরে রবীন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতা কেউ তুলে ধরছেন কি না, জানি না। তবে অতীতে একবার বেশ জোর দিয়েই বলেছিলেন একসময়ের আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী মরহুম আবদুল জলিল। তিনি পতিসরকে আলাদা উপজেলা করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন এবং বর্তমানে বলছেন রবীন্দ্র অনুরাগী সাংসদ ইসরাফিল আলমসহ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের কিছু মুক্তমনের শুভবুদ্ধির মানুষ। তাঁদের কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে নওগাঁতে যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তা পতিসরে করলে সমাদৃত হবেন।

লেখক: রবীন্দ্রস্মৃতি সংগ্রাহক