নাগরিক ছবি (৪ জুলাই, ২০২০)

১ / ১৭
চারদিকে বন্যার পানি থই থই, রাস্তাঘাট প্লাবিত। নীরবে ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে একা। চন্দ্রকোনার চকবড়ইগাছি এলাকা, নকলা উপজেলা, শেরপুর, ৪ জুলাই। ছবি: মো. সুখন
চারদিকে বন্যার পানি থই থই, রাস্তাঘাট প্লাবিত। নীরবে ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে একা। চন্দ্রকোনার চকবড়ইগাছি এলাকা, নকলা উপজেলা, শেরপুর, ৪ জুলাই। ছবি: মো. সুখন
২ / ১৭
‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন, আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।’ কবি জীবনানন্দ দাশের সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলার পথে চলনবিলের আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় দুদণ্ড শান্তির আশায় যেন জিরিয়ে নেওয়া এই ফড়িংয়ের। চলনবিল, সিংড়া, নাটোর, ৩ জুলাই। ছবি: আবু তালহা আকাশ
‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন, আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।’ কবি জীবনানন্দ দাশের সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলার পথে চলনবিলের আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় দুদণ্ড শান্তির আশায় যেন জিরিয়ে নেওয়া এই ফড়িংয়ের। চলনবিল, সিংড়া, নাটোর, ৩ জুলাই। ছবি: আবু তালহা আকাশ
৩ / ১৭
ওপরে জং ধরা টিনের চাল, ভেতরে শিক্ষার আলো। নারকেল আর শীলকড়ইগাছ আবৃত করে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলকে। শেখের গাঁও আব্দুল অদুদ মুন্সি হাইস্কুল, মেঘনা, কুমিল্লা, ৪ জুলাই। ছবি: রাব্বি হাসান
ওপরে জং ধরা টিনের চাল, ভেতরে শিক্ষার আলো। নারকেল আর শীলকড়ইগাছ আবৃত করে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলকে। শেখের গাঁও আব্দুল অদুদ মুন্সি হাইস্কুল, মেঘনা, কুমিল্লা, ৪ জুলাই। ছবি: রাব্বি হাসান
৪ / ১৭
লকডাউনের কারণে বইগুলো দীর্ঘদিন তাদের পাঠকের হাতের ছোঁয়া পায়নি। ঢাকায় ফেরার পর বাড়ির ছাদে শুকাতে দিয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর এক শিক্ষার্থী। যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আফজাল তাহফি রোহান
লকডাউনের কারণে বইগুলো দীর্ঘদিন তাদের পাঠকের হাতের ছোঁয়া পায়নি। ঢাকায় ফেরার পর বাড়ির ছাদে শুকাতে দিয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর এক শিক্ষার্থী। যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আফজাল তাহফি রোহান
৫ / ১৭
ডুবছে সূর্য। সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে চলে যাচ্ছে আপন নীড়ে। জামেয়া দ্বীনিয়া, মৌলভীবাজার, ৪ জুলাই। ছবি: আরিফ চৌধুরী
ডুবছে সূর্য। সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে চলে যাচ্ছে আপন নীড়ে। জামেয়া দ্বীনিয়া, মৌলভীবাজার, ৪ জুলাই। ছবি: আরিফ চৌধুরী
৬ / ১৭
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বড়শি দিয়ে পুকুর, খাল, ডোবা এবং বর্ষাকালে বাড়ির চারপাশে কিংবা নৌকায় করে দূরে কোথাও বসে মাছ ধরা। বর্ষাকাল চলছে, তবে এখনো খাল থেকে জমিতে পুরোপুরি পানি না উঠলেও মাছ ধরা শুরু হয়েছে। সড়কের পাশে ছোট্ট খালে বড়শি পেতে মাছ ধরছেন স্বামী-স্ত্রী। পাণ্ডবনগর পশ্চিমপাড়া, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: জুবায়ের আহমেদ
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বড়শি দিয়ে পুকুর, খাল, ডোবা এবং বর্ষাকালে বাড়ির চারপাশে কিংবা নৌকায় করে দূরে কোথাও বসে মাছ ধরা। বর্ষাকাল চলছে, তবে এখনো খাল থেকে জমিতে পুরোপুরি পানি না উঠলেও মাছ ধরা শুরু হয়েছে। সড়কের পাশে ছোট্ট খালে বড়শি পেতে মাছ ধরছেন স্বামী-স্ত্রী। পাণ্ডবনগর পশ্চিমপাড়া, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: জুবায়ের আহমেদ
৭ / ১৭
শৈশবের দুরন্তপনা। ‘কী করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন্‌ বনে যাই, কোন্‌ মাঠে যে ছুটে বেড়াই সকল ছেলে জুটি, আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি।’ বিশ্বকবি রবীঠাকুরের এই কবিতার লাইনগুলোই যেন শৈশবের প্রাণচাঞ্চল্য। স্কুল বন্ধ প্রায় সাড়ে তিন মাস। নেই কোনো পড়াশোনার চাপ। এমনিতেই শৈশবের দুরন্তপনায় মেতে উঠেছে গ্রামাঞ্চলের শিশু–কিশোরেরা। ছবি: বিনায়েক রহমান
শৈশবের দুরন্তপনা। ‘কী করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন্‌ বনে যাই, কোন্‌ মাঠে যে ছুটে বেড়াই সকল ছেলে জুটি, আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি।’ বিশ্বকবি রবীঠাকুরের এই কবিতার লাইনগুলোই যেন শৈশবের প্রাণচাঞ্চল্য। স্কুল বন্ধ প্রায় সাড়ে তিন মাস। নেই কোনো পড়াশোনার চাপ। এমনিতেই শৈশবের দুরন্তপনায় মেতে উঠেছে গ্রামাঞ্চলের শিশু–কিশোরেরা। ছবি: বিনায়েক রহমান
৮ / ১৭
সকাল ৭ টা ৩০ মিনিট। ছোট্ট ছেলেটার মাথায় ঝুড়িভর্তি কলমিশাক। ছেলেটি শাক বিক্রির জন্য বাজারের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছে। বিড়ালাক্ষী, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা, ৪ জুলাই। ছবি: রিফাত নূর রাব্বি
সকাল ৭ টা ৩০ মিনিট। ছোট্ট ছেলেটার মাথায় ঝুড়িভর্তি কলমিশাক। ছেলেটি শাক বিক্রির জন্য বাজারের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছে। বিড়ালাক্ষী, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা, ৪ জুলাই। ছবি: রিফাত নূর রাব্বি
৯ / ১৭
নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি। শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেকের স্বপ্ন, ইচ্ছা ও আশ্রয়ের শেষ স্থানটুকু। তাই নদীভাঙন রোধে সরকারি উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। চরজিংকিং, কাঁচিকাটা, সখিপুর, শরীয়তপুর। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আসিফ আহমেদ
নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি। শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেকের স্বপ্ন, ইচ্ছা ও আশ্রয়ের শেষ স্থানটুকু। তাই নদীভাঙন রোধে সরকারি উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। চরজিংকিং, কাঁচিকাটা, সখিপুর, শরীয়তপুর। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আসিফ আহমেদ
১০ / ১৭
যখন নদীর বুকে একটুও ঢেউ নেই, তখন মাঝনদীতে একা বসে আছেন মাঝি। পরম সুখে ছুটছেন জীবননদীর ওপর দিয়ে। দেখলে তাঁকে হবে মনে অনেক আনন্দ তাঁর মধ্যে। মুখে নিয়ে হাসি দেন জীবননদীতে পাড়ি। মেঘনা নদী, ভোলা, ৪ জুলাই। ছবি: মো. আরিয়ান আরিফ
যখন নদীর বুকে একটুও ঢেউ নেই, তখন মাঝনদীতে একা বসে আছেন মাঝি। পরম সুখে ছুটছেন জীবননদীর ওপর দিয়ে। দেখলে তাঁকে হবে মনে অনেক আনন্দ তাঁর মধ্যে। মুখে নিয়ে হাসি দেন জীবননদীতে পাড়ি। মেঘনা নদী, ভোলা, ৪ জুলাই। ছবি: মো. আরিয়ান আরিফ
১১ / ১৭
দুরন্ত আর অবুঝ এই শৈশবে নেই ভাইরাসের কোনো ভয়। হয়তো ওরা বোঝে, হয়তো বোঝে না। তাতে কি! একসঙ্গে হাজারটা খেলায় মেতে ওঠার মতো আনন্দকে ম্লান করতে পারেনি এই দুঃসময়ও। ওদের মতো করে অমায়িক হাসিটুকু ফিরে আসুক আমার সোনার বাংলার বুকে। আবার একদিন হাসব একসঙ্গে, এই প্রত্যাশায়। বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও, ছবি: আরিফ হাসান
দুরন্ত আর অবুঝ এই শৈশবে নেই ভাইরাসের কোনো ভয়। হয়তো ওরা বোঝে, হয়তো বোঝে না। তাতে কি! একসঙ্গে হাজারটা খেলায় মেতে ওঠার মতো আনন্দকে ম্লান করতে পারেনি এই দুঃসময়ও। ওদের মতো করে অমায়িক হাসিটুকু ফিরে আসুক আমার সোনার বাংলার বুকে। আবার একদিন হাসব একসঙ্গে, এই প্রত্যাশায়। বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও, ছবি: আরিফ হাসান
১২ / ১৭
করোনার কারণে থমকে আছে সারা বিশ্ব। স্কুল বন্ধ। আগের মতো পড়াশোনার চাপ নেই। বাড়ির পাশের বিলে কয়েকজন কিশোরের হইহুল্লোড়, দুরন্তপনায় মেতে ওঠা। ফুটবল দিয়ে গ্রামবাংলার ছেলেরা নানা ধরনের খেলায় এমনভাবে মেতে ওঠে প্রায়ই। ডামুড্যা, শরীয়তপুর, ৩ জুলাই। ছবি: হাসান সিকদার
করোনার কারণে থমকে আছে সারা বিশ্ব। স্কুল বন্ধ। আগের মতো পড়াশোনার চাপ নেই। বাড়ির পাশের বিলে কয়েকজন কিশোরের হইহুল্লোড়, দুরন্তপনায় মেতে ওঠা। ফুটবল দিয়ে গ্রামবাংলার ছেলেরা নানা ধরনের খেলায় এমনভাবে মেতে ওঠে প্রায়ই। ডামুড্যা, শরীয়তপুর, ৩ জুলাই। ছবি: হাসান সিকদার
১৩ / ১৭
পদ্মায় পানি বাড়লেই কিছুদূর পরপর এভাবে বসে থাকতে দেখা যায় মাছশিকারিদের। উপার্জনের উপায় ও শখের বিষয় যখন অভিন্ন, তখন নিজের জন্য খুব বেশি আরামদায়ক জায়গা না হলেও চলে। পদ্মার পাড়, ফুলতলা, রাজশাহী, ৩ জুলাই। ছবি: মো. ফজলে রাব্বী মিলন
পদ্মায় পানি বাড়লেই কিছুদূর পরপর এভাবে বসে থাকতে দেখা যায় মাছশিকারিদের। উপার্জনের উপায় ও শখের বিষয় যখন অভিন্ন, তখন নিজের জন্য খুব বেশি আরামদায়ক জায়গা না হলেও চলে। পদ্মার পাড়, ফুলতলা, রাজশাহী, ৩ জুলাই। ছবি: মো. ফজলে রাব্বী মিলন
১৪ / ১৭
এটাকে নেত্রকোনার আঞ্চলিক ভাষায় জালা ধান বলে। এই বীজধান থেকে বীজচারা। আর সেটি রোপণ করেই কৃষক সোনালি ধানের স্বপ্ন দেখেন। তাই ধান চাষের এই শুরুর ধাপে কতই না মনোযোগে হাতের মায়ার পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন। খামারহাটি, পূর্বধলা, নেত্রকোনা, ৪ জুলাই। ছবি: পারভেজ আহমেদ ইমন
এটাকে নেত্রকোনার আঞ্চলিক ভাষায় জালা ধান বলে। এই বীজধান থেকে বীজচারা। আর সেটি রোপণ করেই কৃষক সোনালি ধানের স্বপ্ন দেখেন। তাই ধান চাষের এই শুরুর ধাপে কতই না মনোযোগে হাতের মায়ার পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন। খামারহাটি, পূর্বধলা, নেত্রকোনা, ৪ জুলাই। ছবি: পারভেজ আহমেদ ইমন
১৫ / ১৭
কচুর ফুল খুবই দৃষ্টিনন্দন। বর্ষাকালে গ্রামবাংলার মাঠঘাটে, বসতবাড়িতে সৌন্দর্য ছড়িয়ে থাকে। বর্ষায় কচুর পাতায় যখন টিপটিপ বৃষ্টিজল ছুঁয়ে যায়, ঠিক পরে পাশেই লজ্জারুণ বৃষ্টিভেজা কমলারঙের ফুল সৌন্দর্য পিপাসুদের হৃদয় হনন করে নিমেষে। দত্তবাড়ী, বাগবাটী, সিরাজগঞ্জ, ৩ জুলাই। ছবি: কামরুল হাসান কামু
কচুর ফুল খুবই দৃষ্টিনন্দন। বর্ষাকালে গ্রামবাংলার মাঠঘাটে, বসতবাড়িতে সৌন্দর্য ছড়িয়ে থাকে। বর্ষায় কচুর পাতায় যখন টিপটিপ বৃষ্টিজল ছুঁয়ে যায়, ঠিক পরে পাশেই লজ্জারুণ বৃষ্টিভেজা কমলারঙের ফুল সৌন্দর্য পিপাসুদের হৃদয় হনন করে নিমেষে। দত্তবাড়ী, বাগবাটী, সিরাজগঞ্জ, ৩ জুলাই। ছবি: কামরুল হাসান কামু
১৬ / ১৭
জীবনের শেষ বয়সেও একসঙ্গে কাজে মেতে আছেন। ধান কাটা–মাড়াইয়ের এই মৌসুমে এঁরা একসঙ্গে কাজ করছেন অনবরত। করোনা মহামারিতে যেখানে থেমে আছে পুরো বিশ্ব, সেখানে থেমে নেই বাংলার গ্রামীণ জীবনের মানুষগুলোর এই ভালোবাসা আর বেঁচে থাকার তাগিদে একসঙ্গে পথচলা। বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও, ৩ জুলাই। ছবি: আরিফ হাসান
জীবনের শেষ বয়সেও একসঙ্গে কাজে মেতে আছেন। ধান কাটা–মাড়াইয়ের এই মৌসুমে এঁরা একসঙ্গে কাজ করছেন অনবরত। করোনা মহামারিতে যেখানে থেমে আছে পুরো বিশ্ব, সেখানে থেমে নেই বাংলার গ্রামীণ জীবনের মানুষগুলোর এই ভালোবাসা আর বেঁচে থাকার তাগিদে একসঙ্গে পথচলা। বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও, ৩ জুলাই। ছবি: আরিফ হাসান
১৭ / ১৭
বর্ষা মৌসুম এলেই শুরু হয়ে যায় নৌকাবাইচ। খাউরা বিল, শাজাহানপুর, বগুড়া। ছবি: আরিফ শেখ
বর্ষা মৌসুম এলেই শুরু হয়ে যায় নৌকাবাইচ। খাউরা বিল, শাজাহানপুর, বগুড়া। ছবি: আরিফ শেখ