রৌদসী চৌধুরী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এডমন্টনের ফুটবল মাঠ

সতীর্থদের সঙ্গে ফুটবল মাঠে রৌদসী চৌধুরী
সতীর্থদের সঙ্গে ফুটবল মাঠে রৌদসী চৌধুরী

কানাডার আলবার্টা প্রদেশের রাজধানী এডমন্টনের ফুটবল মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশি-কানাডিয়ান কিশোরী রৌদসী চৌধুরী। মাত্র ১১ বছর বয়সেই তার ফুটবল নিয়ে যাত্রা।
২০১৭ সালে এডমন্টনের ‘কমিউনিটি সকার টিম’-এর খুদে সদস্য হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে রৌদসীর ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো শুরু। কানাডিয়ান ফুটবল কোচের নিবিড় প্রশিক্ষণে রৌদসী নিজেকে একজন দক্ষ ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলে। অল্প সময়ের মধ্যেই তার প্রতিভার বিকাশ ঘটে, যার প্রমাণ পাওয়া যায় তার ‘কমিউনিটি সকার টিম’-এর নিয়মিত একাদশে স্থায়ী জায়গা করে নেওয়ায়।
রৌদসী একজন স্ট্রাইকার। এই পজিশনে তার মুনশিয়ানা বিপক্ষ দলের রক্ষণ শিবিরে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এরই মধ্যে গোল করায় তার দক্ষতা নজর কেড়েছে অনেকের। এরই স্বীকৃতি হিসেবে অনূর্ধ্ব তেরো আলবার্টা প্রভিন্সিয়াল সকার টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। শুধু গোল দিতেই নয়, গোল তৈরি করে দিতেও সে সমান দক্ষ। এ কারণে পছন্দের পজিশন স্ট্রাইকিংয়ের পাশাপাশি মধ্যমাঠে খেলতেও সে স্বচ্ছন্দ।

রৌদসী চৌধুরীকে পদক পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে
রৌদসী চৌধুরীকে পদক পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে

এডমন্টনের ডিএস মেকেঞ্জি স্কুলের অষ্টম গ্রেডের ছাত্রী রৌদসী স্কুল সকার দলের নিয়মিত সদস্য হিসেবেও যথেষ্ট সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। বর্তমানে রৌদসী এডমণ্টনের ‘সাউথ ওয়েস্ট স্টিং’ দলের দলের নিয়মিত খেলোয়াড়।
রৌদসী চৌধুরীর জন্ম ২০০৬ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায়। চার বছর বয়সে সে মা-বাবার সঙ্গে কানাডায় আসে। চাকরিজীবী বাবা-মা সঞ্জীব চৌধুরী ও রূপা চৌধুরীর ছোট মেয়ে রৌদসীর স্বপ্ন ২০২৭ সালে অনুষ্ঠেয় ফিফা নারী বিশ্বকাপে কানাডার জাতীয় নারী ফুটবল দলের হয়ে খেলা। বাবা-মার অনুপ্রেরণায় সেই স্বপ্নকে বুকে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে রৌদসী।