উড়লেন বটে, মিটল না সাধ

উইল বাইলার ও বেইলি আকারম্যান বাইলার। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
উইল বাইলার ও বেইলি আকারম্যান বাইলার। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ঘটা করে বিয়ে। দুজন এবার উড়বেন হেলিকপ্টারে। বিয়ের আনন্দ আকাশে বিলাবেন। কিন্তু সে ওড়াই কাল হলো নবদম্পতির। উড়লেন ঠিকই, মিটল না সাধ। বিয়ের খানিক পরই নিভে গেল দুটি প্রাণ।

গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ ঘটনা সাড়া ফেলেছে পুরো অঙ্গরাজ্যে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সান অন্টারিও থেকে ৮৫ মাইল পশ্চিমে ইউভালদে এলাকার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

উইল বাইলার ও বেইলি আকারম্যান বাইলার—দুজনেই ছিলেন স্যাম হিউস্টন স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। দুজনই তাঁদের নিজ নিজ বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ইউনিভার্সিটি পত্রিকায় তাঁদের মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশিত হয়।

বিয়ের মাত্র এক ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারে করে টেক্সাসের দক্ষিণাংশে পারিবারিক খামারবাড়িতে যাচ্ছিলেন এই দম্পতি। পথেই তাঁদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারের পাইলটও নিহত হয়েছেন। পাইলট জেরাল্ড গ্রিন লরেন্স ভিয়েতনাম যুদ্ধে সামরিক বাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন।

দুই বন্ধুর এমন মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল হয়ে গেছেন বন্ধুরা। মাত্র কিছুক্ষণ আগে যাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলেন, তাঁরাই এখন না–ফেরার দেশে—মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন। বাইলার দম্পতির এক বন্ধু ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বিধ্বস্ত হয়ে গেছি!’ এক বিবৃতিতে ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উদার হৃদয় ও প্রাণোচ্ছল এই দম্পতিকে সব সময় স্মরণ করব আমরা।’

ইনস্টাগ্রামে এক বন্ধু লেখেন, ‘গত রাতটি ছিল সবদিক দিয়ে জাদুর মতো। একদম পারফেক্ট একটি দিন। বেইলি আর উইল, তোমাদের মতো ভালোবাসা খুঁজে পাব বলে আশা। এটুকুই সান্ত্বনা যে এই পৃথিবী ছেড়ে গেছো পুরোপুরি আনন্দ ও ভালোবাসা নিয়ে। ঈশ্বরের কাছে গিয়ে তোমাদের হানিমুন হচ্ছে, কী অসাধারণ! খুবই কৃতজ্ঞ যে শেষ কয়েকটা দিন আমরা তোমাদের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের হৃদয় আজ ব্যথিত। তবে এটাই শেষ কথা নয়; খুব শিগগির আমাদের আবার দেখা হবে বন্ধু।’