সহানুভূতি হিসেবে এল পিৎজা

কানাডীয় বিমানকর্মীদের পাঠানো পিৎজা
কানাডীয় বিমানকর্মীদের পাঠানো পিৎজা

সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কানাডার বিভিন্ন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। যুক্তরাষ্ট্রে বেতন না পেয়ে বিভিন্ন বিমানবন্দরে কর্মরত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের জন্য পিৎজা পাঠিয়েছেন তাঁরা।

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের এক–চতুর্থাংশের কার্যক্রমে অচলাবস্থা চলছে। এর ফলে দেশটির এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন না পাওয়ায় দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ খবরের পরিপ্রেক্ষিতে কানাডার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের এমন উদ্যোগ।

কানাডার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের (সিএটিসিএ) সভাপতি পিটার ডাফি এ খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কন্ট্রোলারদের সাহায্য করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কানাডার আলবার্টার এডমনটনের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা প্রথম এই পিৎজা পাঠানোর পরিকল্পনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের জন্য কানাডার এই ইউনিটের নিয়মিত যোগাযোগ হয়। আর এই যোগাযোগের কারণে কন্ট্রোলারদের হালহকিকত সম্পর্কে অবহিত থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তাঁদের ধারণা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের প্রতি সংহতি জানানোর জন্য এটি একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে। যেই কথা সেই কাজ। পাঠিয়ে দেন পিৎজা।

এডমনটনের এ উদ্যোগ পরে আরও বিস্তৃতি পায়। কানাডার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের জন্য কয়েক শ পিৎজা পাঠানো হয়। এই যেমন কানাডার ফোর্ট ম্যাকমারির ইউনিট পিৎজা পাঠায় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো ইউনিটের জন্য। গত বৃহস্পতিবার তারা ৩৫০টি পিৎজা পাঠিয়েছে। ডাফি বলেন, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।