মিশিগানে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপিত

দুর্গা মন্দিরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের নাচ
দুর্গা মন্দিরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের নাচ

পার্থ সারথী দেব, মিশিগান
আমেরিকার মিশিগানে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে নানা সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেসব সংগঠন বর্ষবরণের আয়োজন করেছিল সেসবের মধ্যে রয়েছে—

বিচিত্রা
বাঙালি সংগঠন বিচিত্রার উদ্যোগে ১৩ এপ্রিল এন আরবার সিটির ওয়াসএনো কমিউনিটি কলেজে বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন করা হয়। আসছে নতুন বছর সবার জীবন সুন্দর ও আনন্দময় হয়ে উঠুক এই প্রত্যাশা নিয়ে বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। ছয়টায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ছিল গান, নৃত্যসহ বিভিন্ন পরিবেশনা। রাত আটটায় ছিল জি বাংলার সা রে গা মা পা’র সংগীত শিল্পী জিমুত রায়ের একক সংগীত পরিবেশনা।

বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন
মিশিগানের ওয়েন স্টেট ইউনিভার্সিটি ভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ১৩ এপ্রিল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ইউনিভার্সিটির সেইন্ট এন্ডু হলে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে ছিল ফ্যাশন শো, নৃত্য, গানসহ বিভিন্ন পরিবেশনা।
দুর্গা মন্দির
১৪ এপ্রিল সারা দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডেট্রয়েট দুর্গা মন্দির বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন করে। সারা দিন টিপ টিপ বৃষ্টি ও ঠান্ডা উপেক্ষা করে লোকজন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সকালে পূজা, দুপুরে প্রসাদ বিতরণ, বিকেল চারটায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর বিকেলে ছিল শিশু-কিশোরদের নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি। পরে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে ছিল সংগীতানুষ্ঠান। বকুল পালের রচনা ও নির্দেশনায় ‘মহাকবি কালীদাস’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয় বিকেল পাঁচটায়। সবশেষে ছিল অতিথি শিল্পী জিমুত রায়ের সংগীতানুষ্ঠান। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

কালীবাড়ি
বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্থানীয় কালীবাড়ি বর্ষবরণ করে। প্রথম পর্বে ছিল পূজা, আরাধনা, প্রসাদ বিতরণ। দ্বিতীয় পর্বে ছিল শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সীমিত আকারে মঙ্গল শোভাযাত্রা, নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি। সবশেষে ছিল অতিথি শিল্পী সুদীপ্ত দত্তের একক সংগীতানুষ্ঠান।