বাংলা বর্ষবরণে প্রবাসীদের উপচে পড়া ভিড়

বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপচে পড়া ভিড়
বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপচে পড়া ভিড়

‘পিএস ৬৯ স্কুলের ব্যবস্থাপনা বিভাগে আমি গত ১৯ বছর ধরে কাজ করছি। এত দর্শক কোনো অনুষ্ঠানে দেখিনি। নিয়মিত নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আমাদের অতিরিক্ত ছয়জন কর্মী নিযুক্ত করতে হয়েছে এই ভিড় ব্যবস্থাপনা করতে।’—কথাগুলো বলছিলেন জ্যাকসন হাইটসে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ক্যাটরিনা হোপ।
এআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড আয়োজিত পিএস ৬৯ স্কুলে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শেষ হয়েছে স্থানীয় সময় ১৪ এপ্রিল রাত ১০টায়। শেষ দিন গান গেয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা, তরুণ লোকশিল্পী শাহ মাহবুব। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন ফাহিম রেজা নূর ও সায়মা শ্যামলিপি।
অভিনেত্রী শিরিন বকুল ঘোষণা করেছেন সুন্দর পোশাক পরিধান প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম। ফ্রি র‌্যাফল ড্রয়ের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলের কর্ণধার বেলায়েত হোসেন। তিনি ড্রয়ের পুরস্কার নিউইয়র্ক-ঢাকা রিটার্ন টিকিট স্পনসর করেছেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ১৩ এপ্রিল শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন সংগীতজ্ঞ মুত্তালিব বিশ্বাস। এ সময় তাঁর সঙ্গে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নসো।
লেখক আহমাদ মাযহার বলেন, ‘এটি আমার কাছে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা! বৈশাখী মেলা প্রাঙ্গণ এবং অনুষ্ঠানের মিলনায়তনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই! তাই কর্তৃপক্ষ প্রবেশের পথ বন্ধ করে রেখেছে। কেউ মেলা থেকে বের হলে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেয়। ঘণ্টাখানেক ধরে চেষ্টা করেও ঢুকতে পারিনি। তবে বাইরে শত মানুষের এই মুখরিত এবং সাজসজ্জার ফেস্টুনের সঙ্গে ছবি তোলা দেখে ভালোই লেগেছে। এ যেন মেলার বাইরে আরেকটি মেলা।’

মঞ্চে অতিথিরা
মঞ্চে অতিথিরা

মেলার পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়ক তোফাজ্জল লিটন বলেন, ‘আমরা কল্পনাও করিনি এত দর্শক হবে। আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি, কারণ অনেক মানুষ ভিড়ের কারণে মেলায় প্রবেশ করতে পারেননি। ভবিষ্যতে আরও বড় জায়গায় এই মেলা আয়োজন করব।’
সুন্দর পোশাক পরিধান প্রতিযোগিতার পাঁচ থেকে নয় বছরের বিভাগে প্রথম হয়েছে স্বপ্ন দ্বীপ, দ্বিতীয় স্কদি, তৃতীয় হয়েছে রিক। ১০ থেকে ১৭ বছরের বিভাগে প্রথম হয়েছেন আকাশ নন্দী, দ্বিতীয় রোদসী, তৃতীয় হয়েছে শাবিল। ১৮ বছর থেকে উন্মুক্ত বয়সের বিভাগে প্রথম হয়েছেন রিমি রুম্মান, দ্বিতীয় এ্যানি নন্দী ও তৃতীয় ঝুনু সাহা। দম্পতি জোড়ায় প্রথম হয়েছেন জয় দাশ ও লিপি সাহা, দ্বিতীয় আবদুল্লাহ খালেক ও কামরুন নাহার ডলি, তৃতীয় আবদুল মান্নান ও আরিফা ইয়াসমিন। বিজয়ীদের ১৩৪৭৬০৫ ০৫৯৩ ও ৩৪৭ ২৭৯ ৩৪৯৮ নম্বরে এসএমএস করে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে। র‌্যাফল ড্রয়ে ০৮৪৫০৫১ নম্বরটি বিজয়ী হয়েছে। তাঁকেও যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।