নিউইয়র্কে অর্থনৈতিক অবনমনের আশঙ্কা

নিউইয়র্কের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনমন হতে পারে বলে সম্প্রতি আমেরিকান লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের এক গবেষণায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর অধীনে আমেরিকান লেজিসলেটিভ এক্সচেঞ্জ কাউন্সিলের বার্ষিক অর্থনৈতিক গবেষণায় ‘যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধ শহর ও দরিদ্র শহর’-এর তালিকায় নিউইয়র্ক রয়েছে ৫০তম অবস্থানে। ১৫টি অর্থনৈতিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ নতুন তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
গবেষণাটিতে কর, ন্যূনতম-মজুরি আইন, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, শ্রমনীতি ইত্যাদি মাপকাঠি ব্যবহার করা হয়েছে। এ হিসাবে অঙ্গরাজ্যগুলোর অবস্থান পরিমাপের জন্য কোন অঙ্গরাজ্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য কতটুকু প্রস্তুত, তার একটি প্রাক্কলন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অঙ্গরাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বিদ্যমান বাধাগুলোও বিস্তৃতভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, গত দশকে নিউইয়র্কের ১৩ লাখের বেশি অধিবাসী অঙ্গরাজ্যের বাইরে চলে গেছে বলে মনে করা হয়। তুলনামূলক ধনী অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়েই দরিদ্র জনগোষ্ঠী সেসব অঙ্গরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। নিউইয়র্কের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চবিত্তদের স্থানান্তর। গত দশকে অনেক উচ্চবিত্ত নিউইয়র্ক ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছে।
এ বিষয়ে লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের প্রধান অ্যালেক্সের জনাথন উইলিয়ামস বলেন, ‘আমেরিকাজুড়েই মানুষ উন্নত অঙ্গরাজ্যর দিকে চলে যাওয়ার জন্য এক পা বাড়িয়ে থাকে। জনগণ সেই অঙ্গরাজ্যের দিকেই আকৃষ্ট হয়, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও থাকা-খাওয়ার সুযোগসহ সহায়ক একটি মুক্তবাজার অর্থনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করে।
নিউইয়র্কের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনমনের জন্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর দিকে সমালোচনার তীর ছোড়া হচ্ছে। সমালোচনার কেন্দ্রে থাকা বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে কুমোর গৃহীত জ্বালানি-বিষয়ক নীতি। চার বছর আগে অ্যান্ড্রু কুমো নিউইয়র্কে ফ্র্যাকিংয়ের (ভিন্ন উপায়ে জ্বালানি উৎপাদন) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ ছিল। এ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে অঙ্গরাজ্যটি ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বঞ্চিত হয়। এ ছাড়া কুমোর গৃহীত বাফেলো বিলিয়ন প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।