নেতিবাচক কথা সন্তানকে হীনমন্য করে তোলে

কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি ইউএসএ-এর জ্যামাইকা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সোসাইটির নিয়মিত মাসিক পারিবারিক সাদাকায়ন।
২৭ এপ্রিল নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক মেহজাবিন আহমেদ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করেন।
ভিডিও স্ট্রিমিং আলোচনা পর্বে ‘নেতিবাচক কথা সন্তানকে হীনমন্য করে’ শীর্ষক ভিডিও স্ট্রিমিং আলোচনায় বাণীবাহক ড. দেওয়ান ওয়াসিফ জালাল নেতিবাচক কথা কীভাবে সন্তানদের হীনমন্য করে-তা তুলে ধরেন। অন্যদিকে, ইতিবাচক কথা তাদের কীভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে তা বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, শিশুরা অনুকরণ প্রিয়, তাই সতর্ক থাকতে হবে সন্তানের সঙ্গে ইতিবাচক কথা বলছি কি না।
দেওয়ান ওয়াসিফ জালাল ইতিবাচক থাকার বেশ কিছু টিপস উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো—১. ইতিবাচক ও আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি লালন করতে হবে। ২. ধৈর্যশীল এবং সন্তানের বন্ধু হওয়া। ৩. সন্তানকে বিশ্বাস করা। ৪. শোকর গুজার হওয়া। ৫. সন্তানকে নিজের সম্পত্তি না ভেবে আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত ও আমানত ভাবা। আর প্রতিদিন দুই বেলা নিয়মিত মেডিটেশন করা।
এরপর বিশেষ মেডিটেশন পরিচালনা করার আগে মা’জী বলেন, অসীম সম্ভাবনা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুটি নেতিবাচক কথা ও পরিবেশের কারণে তরুণ বয়সে এসে আস্তে আস্তে গভীর হীনমন্যতায় ভুগতে থাকে। এমনকি আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এটা এখন শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়, এখন পুরো বিশ্বের প্রায় সব দেশেই একটা নৈতিক অবক্ষয় চলছে।
শেষে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. তাজিয়া সরদার অংশ নেন। তিনি বিশেষ ভাবে রমজানে কীভাবে আমরা পরিবারের সবার সঙ্গে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করতে পারি সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানটি অনলাইনে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আমেরিকার ৫টি স্টেট, কানাডার একাধিক প্রভিন্সসহ মোট পাঁচটি দেশের অতিথিরাও অনলাইনেও অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।