কিডনি থাকে হার্টে: ট্রাম্প

কিডনিবিষয়ক স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে নীতিনির্ধারণের জন্য বিশেষ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
কিডনিবিষয়ক স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে নীতিনির্ধারণের জন্য বিশেষ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

উদ্ভট মন্তব্য করে আলোচনার ঝড় তোলা যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এক নিত্যকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এতে নতুন সংযোজন—কিডনি থাকে হার্টে!

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি কিডনিবিষয়ক স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে জোরেশোরে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুধবার বিকেলে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। এরপর দেওয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, ‘হার্টের বিশেষ জায়গায় কিডনি আছে।’

গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসির ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারে দাঁড়িয়ে এই ভুল বক্তব্য দেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি কিডনি বিশেষজ্ঞদের বলেন, ‘আপনারা এই বিষয়গুলো নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, কিডনি নিয়ে আপনারা আসলেই কঠোর শ্রম দিয়েছেন। হৃদযন্ত্রের খুবই বিশেষ জায়গায় কিডনি আছে। এটি একটি অবিশ্বাস্য বিষয়।’

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘গার্ডিয়ান’ বলছে, কিডনির অবস্থান শরীরের পেছনের নিচের অংশে। আর বুকের মাঝে অবস্থান হৃদযন্ত্রের।

মুহূর্তের মধ্যে ট্রাম্পের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। এরই মধ্যে ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের একটি ভিডিওচিত্র শেয়ার করছেন অনেকে। ভিডিওচিত্রটি এখন পর্যন্ত ২০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।

মার্ক জহার নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিষয়ক একজন স্নাতক। অন্য একজন লিখেছেন, ট্রাম্প শরীর ব্যবচ্ছেদ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। একজন আবার বলেছেন, ট্রাম্প যখন বলেছেন তখন আছে, এটা কোনো মজা করার বিষয় নয়।

তবে কেউ কেউ আবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষেও দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের দাবি, ট্রাম্প মূলত এই কথা দিয়ে কিডনির গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। ট্রাম্প আসলে বলতে চেয়েছিলেন, কিডনির গুরুত্ব সবাই হৃদয় দিয়ে অনুভব করে।