মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশি

নিউইয়র্কের ব্রঙ্কস সাবওয়েতে নিয়মিত ভাড়া ফাঁকা দিত এক ব্যক্তি। গত ১৭ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ—এনওয়াইপিডি। সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর মিলে যায় আরেক অপরাধের তথ্য। এই ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ব্রঙ্কসের মাউন্ট হোপ এলাকার ওয়েব মিনিস্টার অ্যাভিনিউয়ে বাসকারী এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। ওই ব্যক্তির নাম জাসুয়ান ডেবিস।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া জাসুয়ান দীর্ঘদিন ধরে বিশাল এলাকাজুড়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সহায়তায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল। এনওয়াইপিডির বিশেষ দল নগদ ডলার, মাদক ও অত্যাধুনিক রিভলবারসহ ৭ আগস্ট মাদক ব্যবসায়ী জাসুয়ানকে আটক করে। ট্রানজিট ডিস্ট্রিক্ট ১১–এর অফিসার ক্যাপ্টেন ইগর পিংকসাভের নেতৃত্বে ভোর রাতের এই অভিযানে বিশেষ বাহিনীর ছয়জন পুলিশ সদস্য অংশ নেন। বাহিনীর অন্যতম একজন সদস্য ছিলেন ট্রানজিট পুলিশের কর্মকর্তা সুনামগঞ্জের তথা বাংলাদেশের সন্তান নিয়ন চৌধুরী।

এনওয়াইপিডির চিফ অব ডিপার্টমেন্ট ট্রেন্স মনহান বলেন, মাদক জগতে জেডি স্লিম নামে পরিচিত জাসুয়ান ডেবিসকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় অ্যাপার্টমেন্ট থেকে নগদ প্রায় ৪৯ হাজার ডলার, দুটি হ্যান্ডগান, দুটি অত্যাধুনিক রিভলবার, ১০০টি তাজা বুলেট এবং বিপুল পরিমাণ হেরোইন, ক্রাক, মারিজুয়ানা উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ প্রধান ট্রেন্স মনহান এই অভিযানে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের সন্তান নিয়ন চৌধুরীসহ সব পুলিশ সদস্যকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ছোট–বড় যেকোনো অপরাধীকে সব সময় আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সদস্যদের আরও সচেষ্ট থাকতে হবে। কারণ কার কাছে কোন অপরাধের আরও বড় কোন তথ্য মজুত আছে কিনা, তা জানা সহজ নয়।
উদাহরণ দিতে গিয়ে মনহান বলেন, নিয়মিত ভাড়া ফাঁকি দেয় একজন ব্যক্তির কাছ থেকে এত বড় অপরাধের তথ্য পাওয়া যাবে, তা প্রাথমিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। কিন্তু পরে মাঠে নেমে বড় এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরা গেল।