অভিমানে অনুভবে

একদিন,
শহরের দেয়াল হতে শোকের গান সশব্দে বেজে উঠবে
জন্মের বৃত্তান্ত খুঁজে অকারণে এ চোখ কেঁদে উঠবে
রংচটা জীবনের নেপথ্যে প্রাচীর ঘেরা দম্ভ ভেঙে,
শুভদা খুঁজে বেড়াবে রানুর ইতিকথা!

একদিন,
জিঘাংসার অস্থির চোরাস্রোতে অসহনীয় উৎকণ্ঠায়;
আগুন লাগা সুগন্ধি বুকে নিশ্চিহ্ন হবে শুভদা-রানুর গোপন লীলা!
একদিন,
একাকিত্বের গর্জনে পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়বে
মায়ার বাসর জ্বালিয়ে জলজ সংসারে বেঁচে থাকার প্রহসনে
ইন্দ্রনীল বুঝে নেবে জ্যোৎস্নার আড়ালে লুকানো বিনুবালার বুকের ব্যথা!

একদিন,
একুশটা স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে
অবরুদ্ধ অশ্রুতে লাশ কাটা ঘরে
ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে; বিনুবালা ঘুমিয়ে পড়বে।
একদিন,
সুই সুতো রেখে ভ্রান্তি ঘোরে নসিমন ভুলে যাবে নকশি কাঁথার কথা
মাতাল জোছনায় উত্তরীয় বাতাসে কষ্ট জলে লহরীর কথা!
আকাশের কান্নায় পৃথিবী ভেসে যাবে,
হারামি ক্ষুধার গলা টিপে; একটি চিৎকার
তারপর,
নসিমন জমিনে শুয়ে পড়বে।

একদিন,
সরলা মনে সরলা হিসেবি হয়ে উঠবে
নীতিবোধ ছুড়ে ফেলবে ডাস্টবিনে, নষ্ট পল্লির ক্ষুধা নিবারণ কুটিরে
কড়ায়গন্ডায় বুঝে নেবে বসন্তের সুঘ্রাণ, কাশবনের দুরন্তপনা!
একদিন,
পৃথিবীর সকল হিসেব শেষে
সরলা পরিণত হবে তেজস্বিনী বারুদে।

একদিন,
মৃণ্ময়ী ভুলে যাবে মৃন্ময়ের কথা!
বিরতিহীন বিষণ্নতায় অস্ফুট গোঙানিতে
দায়বদ্ধ জীবনের সমাধীকরণে,
সময়ের দাবি হয়ে কাতরাবে মৃন্ময়!
একদিন,
আবেশে জড়ানো ভালোবাসার সমর্পণ আর হবে না
সকল যাতনা শেষে;
অবরুদ্ধ মন ঘুমিয়ে পড়বে অনুভূতির কাছে হার মেনে।

একদিন,
এ হাত থেমে যাবে!
স্নায়ুকোষে ব্যথার আস্ফালনে,
শব্দের বিনুনিতে আর কবিতা লেখা হবে না।
একদিন,
ক্রমশ তলিয়ে যাবে কাব্যিক প্রাণে সেতারে সুর
সবুজ মমতায় শাশ্বত দুঃখবিলাসে,
বিলুপ্ত হবে কবিতারা দূষিত জলে।

একদিন,
পৃথিবীর কোথাও এইচ বি রিতা নামে কেউ থাকবে না।