জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পাকিস্তানি যুবক গ্রেপ্তার

কুইন্সের আরেক তরুণ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) কর্তৃক অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠী কর্তৃক অনুপ্রাণিত এ যুবক আমেরিকানদের ওপর ‘ছুরিকাঘাত বা বোমা হামলা’ চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। গুরুতর এ অভিযোগে ১৯ বছর বয়সী ওয়াইজ চৌধুরী নামক ওই পাকিস্তানি তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট এফবিআই তাঁকে আটক করে। পরে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩০ আগস্ট আদালতে হাজির করা হয়।

এফবিআই ও এনওয়াইপিডি ইস্ট এলমহার্স্টের বাটলার স্ট্রিট থেকে ওয়াইজকে তাঁর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়াইজ চৌধুরীর আইনজীবী বলেছেন, তাঁর ক্লায়েন্ট গুরুতর কোনো আক্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন না। তবে তিনি একটি ‘ফ্যান্টাসি’ বা কল্পনার জগতে বাস করতেন। তার আইনজীবী জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে পারেন।

ওয়াইজ চৌধুরীর জন্ম পাকিস্তানে। বর্তমানে তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে ফ্লাশিংয়ে থাকেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যথাযথ নজরদারি ও তদন্ত সাপেক্ষে আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে। ওয়াইজ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের ফলে জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ওয়াইজ চৌধুরী ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনা ও লাগার্ডিয়া এয়ারপোর্টের কাছে ফ্লাশিং বে প্রমনেডে আক্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন।

ফেডারেল তদন্তকারীরা জানান, চৌধুরী ২৩ আগস্ট এই প্লটটি সম্পর্কে গোপন এজেন্টদের টেক্সট করা শুরু করেন। পর দিন টার্গেটের অবস্থান, পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ও পালানোর সম্ভাব্য পথগুলো অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি ১ ও ২ সেপ্টেম্বরকে হামলার সম্ভাব্য দিন হিসেবে ধার্য করে বিভিন্ন সামগ্রীর অর্ডার দিয়েছিলেন।

একটি টেক্সট মেসেজে ওয়াইজ চৌধুরী একজন ছদ্মবেশী এজেন্টকে লেখেন, তিনি একটি ছুরি ব্যবহারের ইচ্ছা পোষণ করেন। কারণ, তিনি এর ব্যবহার পদ্ধতি জানেন। তবে এজেন্ট যদি তাঁকে কীভাবে বোমা তৈরি করতে হয় দেখিয়ে দিতে পারে, তাহলে তিনি বোমা ব্যবহারের বিষয়টিও বিবেচনা করবেন। এসব তথ্য ফেডারেল তদন্তকারীরা তাঁর মোবাইল ও কম্পিউটার ঘেঁটে উদ্‌ঘাটন করেছেন।

তদন্তকারীরা জানান, ওয়াইজ চৌধুরী অন্য একজন আন্ডারকভার এজেন্টকে ‘ইসলামিক স্টেট’ শীর্ষক একটি নথির স্ক্রিনশট টেক্সট করেছিলেন। যার মধ্যে আক্রমণের স্থান ও ছুরিগুলোর ছবি অন্তর্ভুক্ত ছিল। একই সঙ্গে ছিল মানবদেহের একটি ডায়াগ্রামও। এতে কীভাবে, কখন ছুরিকাঘাত করতে হবে, তার দিকনির্দেশনা বর্ণনা করা ছিল।