ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরেক রিপাবলিকান

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মার্ক সানফোর্ড। ছবি: এএফপি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মার্ক সানফোর্ড। ছবি: এএফপি

রিপাবলিকান পার্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা প্রায় নিরঙ্কুশ। তাঁকে সরিয়ে অন্য কাউকে ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রার্থী করার প্রশ্ন ওঠে না। তা সত্ত্বেও ইতিমধ্যে দুজন রিপাবলিকান নেতা ম্যাসাচুসেটসের সাবেক গভর্নর বিল ওয়েল্ড ও সাবেক কংগ্রেসম্যান জো ওয়ালশ ট্রাম্পের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। গতকাল রোববার এই তালিকায় যুক্ত হলেন তৃতীয় চ্যালেঞ্জার। তিনি সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর ও এক দফা কংগ্রেসম্যান মার্ক সানফোর্ড।

বাছাইপর্বে ট্রাম্পকে পরাস্ত করবেন, সানফোর্ড নিজেই সে কথা বিশ্বাস করেন না, কিন্তু ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করাটাকে তিনি একটি নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করে সানফোর্ড ফক্স নিউজকে জানান, ট্রাম্পের প্রভাবে রিপাবলিকান পার্টি পথ হারিয়ে ফেলেছে। এই দলের বরাবরই প্রধান লক্ষ্য ছিল বাজেট নিয়ন্ত্রণ। এখন আর সেই লক্ষ্য অনুসরণ করা হচ্ছে না। ট্রাম্পের হাতে আমেরিকার রাজনৈতিক সংস্কৃতিও পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের পাঠানো টুইট হয়তো বেশ মজাদার, কিন্তু তাঁকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বলা যাবে না।’

মার্ক সানফোর্ড ও বাকি দুজন চ্যালেঞ্জারকে শুধু ট্রাম্প নয়, রিপাবলিকান পার্টির বিরুদ্ধতারও মোকাবিলা করতে হবে। দলের শীর্ষ পর্যায়ে চেষ্টা চলছে, যাতে ট্রাম্পকে বাছাইপর্বের সম্মুখীন হতে না হয়। ইতিমধ্যে চারটি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা বাছাইপর্বের জন্য কোনো সম্মেলনের আয়োজন করবে না। ফলে, এই রাজ্যগুলোয় বাছাইপর্বের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই অনুষ্ঠিত হবে না। রাজ্যগুলো হলো সাউথ ক্যারোলাইনা, নেভাডা, ক্যানসাস ও অ্যারিজোনা।

মঞ্চের পেছন থেকে ট্রাম্প ও তাঁর ক্যাম্পেইন গোড়া থেকে চেষ্টায় ছিলেন সব রকম বাছাইপর্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এড়াতে। এই লক্ষ্যে তাঁরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বে ট্রাম্পের অনুগত সমর্থকদের বসাতে সচেষ্ট ছিলেন। এই চার রাজ্যের দলীয় সিদ্ধান্ত থেকে এটা পরিষ্কার যে ট্রাম্প নিজের লক্ষ্য পূরণে অনেক দূর সফল হয়েছেন।

ট্রাম্পবিরোধী রিপাবলিকানরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। জো ওয়ালশ বলেছেন, দলীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক ও ভুল। এই সিদ্ধান্তের জন্য রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্বের লজ্জিত হওয়া উচিত। এই সিদ্ধান্ত থেকে এ কথাও প্রমাণিত হয়, ট্রাম্প বাছাইপর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভীত।

একই কথা বলেছেন বিল ওয়েল্ড। তিনি অভিযোগ করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আপ্রাণ চেষ্টা করছেন রিপাবলিকান পার্টিকে তাঁর ব্যক্তিগত ক্লাবে পরিণত করতে।