টরন্টোতে অধ্যাপক মোজাফ্ফর স্মরণসভা

স্মরণসভায় পিআইডি কানাডার নেতৃবৃন্দ
স্মরণসভায় পিআইডি কানাডার নেতৃবৃন্দ

কানাডার টরন্টোর বাঙালি পাড়ার ইউনাইটেড হোপ চার্চে অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমেদ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগের (পিডিআই) আয়োজনে সম্প্রতি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য সভার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিডিআই কানাডার যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল মালিক। পিডিআইয়ের সমন্বয়ক মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা নাসির উদ দুজা, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল আউয়াল, লেখক সালমা বাণী, লেখক ফারহানা আজিম, সাংবাদিক নুর কাজী, কানাডা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক মিনারা বেগম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন সাহা এবং পিডিআই কর্মী ননীগোপাল দেবনাথ।
সভায় নাসির উদ দুজা বলেন, অধ্যাপক মোজাফ্ফর ছিলেন সব দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের জন্য আদর্শের বাতিঘর। অধ্যাপক মোজাফ্ফর সারা জীবন দেশ ও জাতির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতেন। তাঁর শূন্যস্থান কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর মতো নির্লোভ ও নিঃস্বার্থ রাজনীতিকের কখনো মৃত্যু হবে না।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবক্ষয়ের মুক্তিই ছিল তাঁর একমাত্র আকাঙ্ক্ষা। তাঁর পথ অনুসরণের মাধ্যমে রাজনৈতিক-সামাজিক মুক্তির নতুন নির্দেশনা পাওয়া সম্ভব। সব গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তির একতা ছাড়া দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-মোজাফ্‌ফর) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ গত ২৩ আগস্ট ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৭ বছর বয়সে মারা যান। ১৯২২ সালে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় জন্ম নেওয়া এ রাজনীতিক ১৯৩৭ সালে থেকে ন্যাপের সঙ্গে যুক্ত। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের হয়ে নির্বাচন করে আইনসভার সদস্য হন। ১৯৫৭ সালে তিনি পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ১৯৭১ সালে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন এ রাজনীতিক। সে সময় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আহুত হয়ে বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সপক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর তাঁকে মন্ত্রিত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানালেও নির্লোভ এই নেতা শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচনায় তা গ্রহণ করেননি। ২০১৫ সালে তাঁকে সরকার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা পদক প্রদান করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।