এমটিএ বাসস্টপে গাড়ি চাপায় শিক্ষার্থী নিহত

এনজো ফ্যারাচিও
এনজো ফ্যারাচিও

ব্রুকলিনের ওশান অ্যাভিনিউয়ের একটি বাসস্টপে গাড়ির চাপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম এনজো ফ্যারাচিও।
১০ সেপ্টেম্বর এনজো সিটি বাসস্টপে অন্য একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এনজোকে চাপা দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়।
এনজোর বাবা-মা এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তাঁরা বলেন, এনজো সেদিন দ্বিতীয়বারের মতো ব্রুকলিন স্টপে সিটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। কারণ ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুল বাসটি এনজোকে ছেড়ে গিয়েছিল।
এনজোর মা মেরি ফ্যারাচিও বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানকে হারিয়েছি। সে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না।’
এনজোর বাবা অ্যাঞ্জেল ফ্যারাচিও বলেন, ‘আমি কেমন বোধ করছি? ভয়ানক! প্রতি পাঁচ মিনিটে তার কথা ভাবছি। আমি ঠিক হতে চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না।’
পুলিশ বলছে, ওই গাড়ি চালকের বয়স ৬০ বছর। তাঁর মেডিকেল সমস্যা ছিল। চালক হঠাৎ রাস্তা থেকে কার্ভের ওপর গাড়ি তুলে দেয়। সেখানেই এনজো এমটিএ বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল।
অ্যাঞ্জেল ফ্যারাচিও অভিযোগ করে বলেন, এনজো স্কুল বাসে করে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু দিনের পর দিন বাসটি তাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। তাই সে সেদিন স্কুল থেকে বেরিয়ে যখন দেখে স্কুল বাসটি ইতিমধ্যে চলে গেছে, তখন সে সিটি বাস নিতে চেষ্টা করে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কী কারণে হলুদ স্কুল বাসটি আমার ছেলের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারেনি।’
অ্যাঞ্জেল ফ্যারাচিও সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্কুল বাসটি এনজোকে রেখে চলে গেলে এনজোর বড় ভাই নিয়ে আসত। কিন্তু এবার এনজো নিজে আসতে চেয়েছিল। এনজো বলেছিল স্কুল তাকে একটি মেট্রো কার্ড দিয়েছে।
এনজো নিহত হওয়ার দুই দিন পর প্রতিবেশী ও নগর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছিলেন। সবাই এনজোর পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।
এনজোর বাবা বলেন, আমি স্কুলটি নিয়ে খুব হতাশ।
সিটি স্পিকার কোরি জনসন ঘোষণা করেছেন, প্রত্যেক পরিবার ট্রাফিক সহিংসতা থেকে নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিশ্রাম নেবেন না।
এনজোর মা বলেন, ‘আসুন ব্রুকলিনকে সব শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলি।’