গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারবাসীর সঙ্গে নাহিদের মতবিনিময়

মতবিনিময় সভায় দর্শকদের একাংশ
মতবিনিময় সভায় দর্শকদের একাংশ

নিউইয়র্ক সফররত নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জবাসী। নিউইয়র্কপ্রবাসী গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে ১৩ অক্টোবর সাউথ ওজোন পার্কের একটি ভেন্যুতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।

জাতিসংঘ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ফাঁকে নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। সিলেট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শামীম আহমদ ও ওয়াহিদ পারভেজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কামাল আহমদ, আবদুল হান্নান চৌধুরী ও মহী উদ্দিন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল ও গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসীর পক্ষে হেলিম আহমদ। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন আবদুর রহমান, আবদুল কুদ্দুস, কামরুল হক, কমর উদ্দীন, আবদুল হাসিব, কবির আহমদ চৌধুরী, হেলাল আহমদ, সফর উদ্দীন লোদি, সাব্বির আহমদ, খসরুজ্জামান খসরু, আইরীন পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের নেতৃবৃন্দ। বিয়ানীবাজার সমিতি, জ্যামাইকা ফ্রেন্ড সোসাইটি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, বিয়ানীবাজার শ্রীধরা সমিতি ও বিয়ানীবাজার আসিরগঞ্জ সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন আবদুল মুত্তালিব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘গত ২০ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫০ ডলার। এখন তা ২ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে। দলীয় শিক্ষানীতি নয়, একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি, যা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি ও সন্ত্রাস নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক, ছাড় পাবে না। সন্ত্রাসীরা অন্য দল থেকে এসে আওয়ামী লীগের আশ্রয় নিয়েছে। দেশের মধ্যে যারা অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল, তাদের ধরা হচ্ছে, দল থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় নেওয়া হচ্ছে।’

গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এলাকার উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘সব পরিবারকে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। এক সময়ের বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার অবসান হয়েছে। ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে রাস্তার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। লেখাপড়ার মান উন্নত করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমান তালে চলতে পারব।’ পরে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।