বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করল টুইটার

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসি। ছবি: রয়টার্স
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসি। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী সব ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে অন্যতম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। গতকাল বুধবার এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসি। তিনি বলেন, ‘যদিও ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করে, তবে এটি রাজনীতিতেও উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি নিয়ে আসে। এই ধরনের বার্তা অর্জিত হবে, কিনে নেওয়া উচিত নয়।’

এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ২২ নভেম্বর থেকে কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ বিবরণী পাওয়া যাবে আগামী ১৫ নভেম্বর। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে টুইটারের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফেসবুক সম্প্রতি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক বা গণতান্ত্রিক সংবাদকে সেন্সর করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলে মনে করেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি মনে করেন, গণতন্ত্রের জন্যই বেসরকারি সংস্থাগুলোর রাজনৈতিক সংবাদের সেন্সর করা ঠিক নয়।

এই সংবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের নির্বাচনী শিবিরগুলো বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবিরের ম্যানেজার ব্রাড পারস্কেল বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প এবং রক্ষণশীলদের চুপ করিয়ে দিতে বামদের একটি প্রচেষ্টা।’

ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের রাজনৈতিক শিবিরের মুখপাত্র বিল রুসো বলেছেন, ‘যখন বিজ্ঞাপনের অর্থ ও আমাদের গণতন্ত্রের অখণ্ডতার মধ্যে বেছে নেওয়ার প্রশ্ন এল, দেখা গেল আয় জিতে যায়নি। এটি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।’

২০১৮ সালের অন্যতম বড় রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি ছিল যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কেলেঙ্কারির ঘটনা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ফেসবুক থেকে তারা প্রায় ৯ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য অনৈতিকভাবে সংগ্রহ করেছে। এ তথ্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে অ্যানালিটিকা। এ তথ্য প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের এপ্রিলে মার্ক জাকারবার্গকে কংগ্রেসের শুনানিতেও অংশ নিতে হয়েছিল। আবারও একই বিষয়ে গত ২৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের আর্থিক সেবাবিষয়ক কমিটিতে শুনানির সময় তোপের মুখে পড়েন তিনি। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে মিথ্যা তথ্য থাকলে বিজ্ঞাপন অপসারণ করা হবে কি না, এ প্রশ্নের উত্তর দেননি জাকারবার্গ।