নিউইয়র্কে হচ্ছে ফেসবুকের নতুন কার্যালয়

নিউইয়র্ক নগরীতে নিজেদের কার্যক্রমকে আরও প্রসারিত করছে ফেসবুক। নিজেদের নতুন অফিসের জন্য ১৫ লাখ বর্গফুটের একটি জায়গা ভাড়া করছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে এ বিষয়ে হাডসন ইয়ার্ডের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নিউইয়র্কে নতুন কার্যালয়ে আগামী বছর থেকে কাজ শুরু করবে ফেসবুক।
১৪ নভেম্বর এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে হাডসন ইয়ার্ড জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় ফেসবুক তিনটি ভবন ভাড়া নিচ্ছে। ৫০ হাডসন ইয়ার্ডসের এক হাজার ফুট উঁচু একটি ভবনের ১ লাখ ২০ হাজার বর্গফুট, ৩০ হাডসন ইয়ার্ডসের ২ লাখ ৬৫ হাজার বর্গফুট ও ৫৫ হাডসন ইয়ার্ডসের ৫৭ হাজার বর্গফুট এলাকা ভাড়া নিচ্ছে ফেসবুক।
ফেসবুকের সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে। নিউইয়র্কে তাদের মূল কার্যালয়টি রয়েছে ম্যানহাটনের অ্যাস্টর প্লেসে। এখন দেড় লাখ বর্গফুট এলাকার ওপর নতুন কার্যালয় খুলতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে নতুন এ কার্যালয়ে কত কর্মী কাজ করবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এ বিষয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, হাডসন ইয়ার্ডস কার্যালয়ে ফেসবুকের কোন দল কাজ করবে, সেখানে কত কর্মী নিযুক্ত হবেন, তা এখনো ঠিক করা হয়নি।
এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে ফেসবুকের গ্লোবাল ফ্যাসিলিটিস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন টেন্যানস বলেন, ‘নিউইয়র্ক নগরীতে কার্যক্রম প্রসারের লক্ষ্যে গৃহীত এই ধাপটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন অফিসটি নগরীর শিল্প, সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যম ও বাণিজ্য সব দিক থেকেই প্রাণচঞ্চল এলাকাটি আমরা বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। হাডসন ইয়ার্ডস এমনই একটি সুযোগ নিয়ে এসেছে। ২০২০ সালে সেখানে আমাদের কার্যালয় স্থাপন করব।’
হাডসন ইয়ার্ডসে ফেসবুক তাদের নতুন কার্যালয় খুলছে এমন খবর অবশ্য ১৪ নভেম্বরের আগে থেকেই চাউর ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকের মতো আরও বেশ কিছু বড় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিউইয়র্কে নিজেদের কার্যক্রম প্রসারিত করেছে। এ তালিকায় রয়েছে গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানও। নিউইয়র্ক নগরীর ওয়েস্ট ভিলেজের সেন্ট জন’স টার্মিনালের কাছে তারা নতুন কার্যালয় খুলবে বলে তথ্য বেরিয়েছে। গুগল এ সম্পর্কিত চুক্তির খুব কাছাকাছি বলেও তথ্য বেরিয়েছে। আমাজনও ছিল এ তালিকায়। তবে চলতি বছরের শুরুতে আন্দোলনের মুখে তারা এ পরিকল্পনা বাতিল করে।