জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি সেন্টারে এ উপলক্ষে উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীও অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক সুবল দেব নাথ। সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব মোহাম্মদ কাশেম। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ নিউইয়র্কে বসবাসরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। শ্রদ্ধা জানানো হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শহীদদের। বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রেসসচিব নূরে এলাহি মিনা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রেসসচিব নূরে এলাহি মিনা, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী আজহারুল মিলন, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—মোহাম্মদ সোহরাব হুসেন, মোহাম্মদ রেজাউল আজাদ ভূঁইয়া, মাইনুল ইসলাম মুহিদ, জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া, সোহেল রানা, কামরুজ্জামান বাচ্চু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেহের কবির প্রমুখ।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, আজকের দিনটি স্মৃতিজাগানিয়া দিন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইতিহাস।
জন ল্যু বলেন, আমি সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়েছি। বাংলাদেশ আমার ভালো লেগেছে, বাংলাদেশের মানুষ সত্যিই ভালো।
মুহম্মদ ফজলুর রহমান অ্যালামনাই প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে।
নূরে এলাহি মিনা বলেন, আমরা সবাই আমাদের মাকে সব সময় বুকের মধ্যে লালন করি। সেই সঙ্গে লালন করি নিজেদের বিদ্যাপীঠকে। আমি মনে করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মায়ের মতো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জাতীয় ইতিহাসের একটি অংশ। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ভালো অবস্থানে রয়েছে।
মোহাম্মদ আলী বলেন, ২০১৬ সালে অ্যালামনাই প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ আমরা শুরু করি। যারা সফল হয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ।
অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন—আহ্বায়ক সুবল দেব নাথ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, রেজাউল আজাদ ভূঁইয়া, মাইনুল ইসলাম মুহিদ, সদস্যসচিব মোহাম্মদ কাশেম, যুগ্ম সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া, সদস্য আল আমিন সুমন, সোহেল হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, গিয়াস উদ্দিন রুবেল, মনিরুজ্জামান মিয়া, তানভীর করিম, লুৎফর রহমান, ডিউক খান, সাইদুল ইসলাম, সোহেল রানা, শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ সুমন, সেলিম আহমেদ।
শেষ পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব, কামরুজ্জামান বকুল, কৃষ্ণা তিথি, রওশন আরা কাজল প্রমুখ।